হোম > পরিবেশ

আজও বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা, দুইয়ে দিল্লি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯: ২৪
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৫২
ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার বাতাসে আজও ভয়ানক দূষণ। বিশ্বের ১২৬টি শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ঢাকায়। আজ বাতাসে যে দূষণ রয়েছে, তা সংবেদনশীল মানুষের জন্য তো বটেই, সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। সকালে ঢাকার বায়ুমান পরিমাপ করা হয়েছে ২৬৬। খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে দূষণের তালিকায় রয়েছে ইরাকের বাগদাদ শহরও, সকালে যার বায়ুমান ছিল ২৫৩।

এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর, নেপালের কাঠমান্ডু ও পাকিস্তানের লাহোর।

সোমবার সকাল ৬টার হিসাবে শহরগুলোর বাতাসের এই অবস্থা ছিল। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

আজ সকালে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর বায়ুমান পরিমাপ করা হয়েছে ২৫৩, চতুর্থ অবস্থানে থাকা নেপালের কাঠমান্ডু বায়ুমান ২০০ ও শীর্ষ পাঁচে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের বায়ুমান ছিল ১৯৫।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

এরই মধ্যে ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে—ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছরের নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস।

পরিবেশ সুরক্ষায় সহায়তা দেবে ইইউ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক: পরিবেশ উপদেষ্টা

বায়ুমানে উন্নতি নেই, দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ দুইয়ে ঢাকা

হিমালয় অঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, কাঁপল নেপাল-বাংলাদেশও

পান্থকুঞ্জ পার্কে এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প বাতিল চায় পবা