অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের পুকুর, খাল–বিল, হাওর–বাঁওড়ে প্রায় ৪৫০ প্রজাতির শামুক পাওয়া যায়। এর মধ্যে আপেল শামুক (Pila globosa) ও পন্ড স্নেইল (Viviparus bengalensis) ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। শামুকের ব্যাপক অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত গুরুত্ব রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ শামুকের মাংস খায়। দেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনেকে শামুক খায়। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গলদা চিংড়ির খাদ্য হিসেবে দিনে গড়ে হেক্টরপ্রতি ৬৬ দশমিক ৫ কেজি শামুকের মাংস ব্যবহৃত হয়।
তবে ফসলের বাণিজ্যিক চাষ এবং বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হওয়ার কারণে শামুকের অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে; বিশেষ করে কীটনাশক ও আগাছানাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শামুক বিলুপ্তিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
শামুক ও ঝিনুকের বাণিজ্যিক চাষ ও ব্যবস্থাপনার ওপর দক্ষতা উন্নয়নে সরকারি অর্থায়নে ২৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজার, চাঁদপুর, বগুড়া, যশোর ও বাগেরহাটে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছিল।