কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।
উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, কুতুবদিয়া দ্বীপের চারপাশে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নতুনভাবে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বনায়নের মাধ্যমে দ্বীপটিকে আরও সবুজায়িত করা হবে, যা স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে নদ-নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা অধিবেশনের উন্মুক্ত আলোচনা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুতুবদিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবুল কাশেম উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়াকে রক্ষায় নতুনভাবে বনায়ন এবং কুতুবদিয়ার পিলটকাটা খাল খননে সরকারের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না?
এ সময় উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় জনগণ, পরিবেশবিদ এবং সরকারের সমন্বয়ে কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং স্থানীয়দের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সম্মেলনে উপস্থিত বাপার কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম বলেন, কুতুবদিয়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বনায়ন ও উপকূলীয় সবুজবেষ্টনী তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। প্রতিবছর বেড়িবাঁধ নির্মাণে যে টাকা অপচয় হয়, তা কমে আসবে। সরকারের এই উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি জানান তাঁরা।
কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেক মানুষ বসতবাড়ি হারাচ্ছেন। সমুদ্রের লোনাপানির ঢেউ সরাসরি আছড়ে পড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধ রক্ষায় দ্রুত চারপাশে বনায়ন করার দাবি দ্বীপবাসীর।