হোম > পরিবেশ

সোলার প্যানেল থেকেই ২০টি পারমাণবিক চুল্লির সমান বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য জাপানের

পাতলা ও ভাঁজযোগ্য সোলার প্যানেল হতে যাচ্ছে জাপানের ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ উৎস। ছবি: উইকিপিডিয়া

নতুন প্রজন্মের সৌরবিদ্যুৎ প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে জাপান। জাপান সরকারের লক্ষ্য, ২০৪০ অর্থবছরের মধ্যে পাতলা এবং বাঁকানো পেরোভস্কাইট সোলার সেলের মাধ্যমে ২০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ ২০টি পারমাণবিক চুল্লির সক্ষমতার সমান।

শিল্প মন্ত্রণালয় চলতি ডিসেম্বরে দেশের সংশোধিত জ্বালানি পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশের সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের জন্য পরবর্তী প্রজন্মের সোলার সেলে গুরুত্ব দিয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে নেট শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যে এই প্রযুক্তির সোলার সেলকেই প্রধান উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

চিলির পরে বিশ্বব্যাপী আয়োডিন উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহৎ হিস্যা জাপানের। পেরোভস্কাইট সোলার সেল তৈরির মূল উপাদান এই আয়োডিন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, এর জন্য জাপান একটি স্বাধীন সরবরাহ চেইন তৈরি করতে পারে। এটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উন্নত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১১ সালে পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর, জাপানে সোলার প্যানেলের দ্রুত প্রসার ঘটেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অর্থবছরে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ এসেছে সৌর বিদ্যুৎ থেকে।

তবে, জাপানে বড় আকারের প্রচলিত সিলিকন–ভিত্তিক সোলার সেল স্থাপনের মতো যথেষ্ট জায়গা নেই। সে ক্ষেত্রে পেরোভস্কাইট সোলার সেলগুলোকে বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের সোলার সেল হালকা এবং বাঁকানো যায়। ফলে এগুলো ভবনের দেয়াল, জানালা এবং গাড়ির ছাদসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা যায়।

সেকিসুই কেমিক্যাল কোম্পানির মতো কোম্পানিগুলো পেরোভস্কাইট সোলার সেলের বাণিজ্যিকীকরণের জন্য কাজ করছে। তবে এই প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ প্রবর্তন ২০৩০–এর দশকের আগে প্রত্যাশিত নয়। কারণ এখনো পর্যন্ত এ ধরনের সোলার সেলের আয়ু কম, কম টেকসই। সেই সঙ্গে এর উৎপাদন খরচ কমানোও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

২০০৪ সালে জাপানের বৈশ্বিক সোলার প্যানেল উৎপাদনের শেয়ার ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। সেটি এখন কমে ১ শতাংশেরও নিচে নেমেছে। এটি চীনা প্রস্তুতকারকদের উৎপাদিত সোলার প্যানেলে বাজার সয়লাব হয়ে যাওয়ার কারণে হয়েছে। যেখানে চীন সরকার এই কোম্পানিগুলোকে বড় ধরনের ভর্তুকি দিয়ে থাকে।

জাপান সরকার ভবিষ্যতে পেরোভস্কাইট সোলার সেল রপ্তানির লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছে। এই প্রযুক্তিকে প্রধান দেশীয় নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে উন্নত করার পর জাপান রপ্তানি শুরু করতে চায়।

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণে বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আজও দূষণে শীর্ষে দিল্লি

বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

ঢাকায় আজ সকালে তাপমাত্রা ১৬.৬

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

নতুন তথ্য বলছে, আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি উষ্ণ হয়েছে পৃথিবী

দূষণ বাড়ছে বাতাসে, যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন

ঢাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে

বিলুপ্তি থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঘের ফিরে আসার গল্পটি রুদ্ধশ্বাস