শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পাখির জন্য গাছে গাছে হাঁড়ি বসিয়েছেন সিড্যা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লু। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে পাখির জন্য নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল স্থাপনের কাজ করেন তিনি। ‘প্রকৃতির পাখি প্রকৃতিতেই থাকুক স্বাধীনভাবে’-এই স্লোগান নিয়ে তিনি এ ধরনের কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখি রক্ষায় এমন উদ্যোগ নিয়েছেন সিড্যা ইউনিয়নের এই চেয়ারম্যান। তাঁর এ কাজে সহযোগিতা করছে ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও গ্রামবাসী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল ও বংশ বিস্তারের লক্ষে গাছে গাছে হাঁড়ি স্থাপন করেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গাছে গাছে পাখির জন্য হাঁড়ি বাঁধা হয়েছে। হাঁড়ি গুলোতে ছোট একটি ছিদ্র রয়েছে। যাতে বৃষ্টির পানি ঢুকতে না পারে। তা ছাড়া হাঁড়ির বড় একটি মুখ রয়েছে পাখির ভেতরে ঢোকার জন্য। সিড্যা ইউনিয়নের আশপাশে গাছগুলোতে এ ধরনের প্রায় শতাধিক হাঁড়ি বসানো হয়েছে।
সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময় পাখিদের প্রজননের সময়। কিন্তু আমাদের এখানে বড় গাছের সংকট। হাঁড়ি দেওয়ার কারণে ঝড়, বৃষ্টি ও রোদ থেকে পাখিরা রক্ষা পাবে। হাঁড়িগুলোতে বাসা বেঁধে পাখিরা বংশ বিস্তার করবে এবং আমার বিশ্বাস আমাদের ইউনিয়ন হবে প্রাকৃতিক পাখির একটি অভয় আশ্রম।’
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. এফএমএ মালেক বলেন, ‘আমার জানামতে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি সংগঠন পাখি সংরক্ষণে কাজ করছে। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে পাখি সংরক্ষণের কাজ খুবই কম। তবে আমি ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল হাদি জিল্লুকে ধন্যবাদ দেব কারণ তিনিই প্রথম ব্যক্তি উদ্যোগে দেশীয় পাখি সংরক্ষণের জন্য এগিয়ে এসেছেন। তা ছাড়া তাঁর এ কাজে যদি আমাদের কোনো সাহায্য সহায়তা প্রয়োজন হয় তা দেওয়ার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। তাঁর এ কাজের মাধ্যমে আমাদের আগামী প্রজন্ম দেশীয় পাখি দেখতে পাবে, পাখিদের মধুর কণ্ঠে গান শুনতে পাবে।’