ফিলিপাইনের মিন্দানাওয়ে গতকাল শনিবার রাতে হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সুনামির আশঙ্কা কেটে যাওয়ায় এ সম্পর্কিত সতর্কতা তুলে নিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ জায়গা থেকে বাড়িঘরে ফিরছে মানুষ।
দুর্যোগ কর্মকর্তা মন ক্যাবোনিলাস বলেছেন, দাভাও দেল নর্তে প্রদেশের তাগুম শহরে দেয়াল ধসে এক নারী নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় পরিবারের সঙ্গে নিরাপদ স্থানের খোঁজ করছিলেন সেই নারী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে মিন্দানাওয়ে বড় মাত্রার দুটি ভূমিকম্পের পর আফটার শক হিসেবে অনুভূত হয়েছে ৬০০-এর বেশি কম্পন। দুর্যোগ কর্মকর্তারা কিছু অবকাঠামোর সামান্য ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে, ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর অনুভূত হয় ৬.৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প। ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (ফিভোল্কস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং ৬.১।
শনিবার রাতের ভূমিকম্পে সুরিগাঁও দেল সুর এবং দাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশের কিছু অংশ কেঁপে ওঠে। ফিলিপাইনের সঙ্গে জাপানেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। উপকূলবর্তীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ফিভোল্কস। সুনামির আশঙ্কা কেটে গেছে বলে জানান হয় বিবৃতিতে। উপকূলবর্তী মানুষদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আফটার শকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিত্য নৈমিত্তিক কাজের মধ্যেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
সুরিগাঁও ডেল সুরের উপকূলীয় শহর ক্যারাস্কালে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবাই বাড়ি ফিরে গেছে বলে জানান দুর্যোগ কর্মকর্তা আন্তোনিও। ডিডব্লিউপিএম রেডিও স্টেশনকে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে সবাইকে আবার আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত।
ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে বলে সব জাহাজ এবং বিমানকে সতর্ক করে দিয়েছে ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড। বিমান চলাচল সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় বিমানবন্দরে দেয়ালের টাইলসগুলোতে দেখা দিয়েছে ছোট ছোট ফাটল।
প্যাসিফিক রিংস অব ফায়ার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ফিলিপাইনে নিয়মিতই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত দেখা যায়। এই অঞ্চলে সমুদ্রের চারপাশে সিসমিক ফল্ট থাকায় একে রিংস অব ফায়ার বলা হয়।