শুধু মানুষ নয়, পৃথিবী আরও অনেক প্রাণী আছে যাদের বয়স ১০০ বছরও অতিক্রম করে যায়। আবার এমন অনেক প্রাণী আছে, যাদের আয়ু সময়ের মাপকাঠিতে এত কম যে, অনেকেরই তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ‘মেফ্লাই’ নামে এক ধরনের মাছির আয়ু কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন হতে পারে। তাই বেঁচে থাকা অবস্থায় এরা যত বেশি সম্ভব প্রজনন করে যায়। আবার ‘হাউসফ্লাই’ নামে আমরা সাধারণ যেসব মাছি দেখি সেগুলোর জীবনচক্রও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এদের জীবনকাল কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে কর্মী মৌমাছির জীবনও খুব সংক্ষিপ্ত। মাত্র কয়েক সপ্তাহ এরা বাঁচে। ছোট্ট এই জীবনেই এরা কঠোর পরিশ্রম করে। ফুল থেকে মধু এনে চাকে জমা করে, চাককে সুরক্ষা দেয়। আবার চাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও কাজ করে।
যে মশাকে দেখামাত্রই আমরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করি, সেই মশাও বেশি দিন বাঁচে না। বড়জোর দু-এক সপ্তাহ বেঁচে থাকা এই প্রাণীটি তার প্রজনন বাড়াতে সাধারণত মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর রক্ত পান করে। কয়েক সপ্তাহ বাঁচতে পারে ‘ড্রাগনফ্লাই’ নামের সাধারণ ফড়িংও। ক্ষিপ্র এই প্রাণীটি সাধারণত পানির কাছাকাছি এলাকায় বসবাস করে।
মাত্র কয়েক দিন বেঁচে থাকা ‘ফ্রুইট ফ্লাইজ’ বা ফলের মাছিরাও জীবদ্দশায় যথাসম্ভব প্রজননের দিকে মনোযোগ দেয়।
ডায়রিয়ার সংক্রমণের জন্য দায়ী গ্যাস্ট্রাইটিস নামে এক ধরনের পরজীবী ব্যাকটেরিয়ার আয়ুষ্কাল বড়জোর তিন দিন হতে পারে।
ড্রোন অ্যান্ট বা পুরুষ পিঁপড়ারা মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাঁচে। স্ত্রী পিঁপড়ার সঙ্গে মিলিত হওয়াই এদের সারা জীবনের কাজ।