অতিবৃষ্টি ও ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা প্লাবিত হয়েছে। এই ক্রান্তিলগ্নে আবহাওয়া বার্তায় কোনো সুখবর নেই। আজও নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ ৯ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রামসহ তিন বিভাগের নাম।
আজ রোববার নদীবন্দরের সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে—সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া গতকাল শনিবার ভারী বর্ষণের সতর্কতায় পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তিন বিভাগে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর, যার ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়।
এতে বলা হয়—সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী (8৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে রোববার সকালে প্রকাশিত আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—আজ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই সময়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আজ ঢাকায় দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।