পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, ‘বৈশ্বিকভাবে এখন অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে, সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে, সুন্দরবনের কিছু অংশ ডুবে যাওয়ায় এর আয়তন কমে গেছে। এখনই যদি আমরা পর্যাপ্ত বনায়ন নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে একসময় সুন্দরবন ডুবে যাবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ রোববার পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এ কথা বলেন।
পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের চিফ মেন্টর ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব আর্টসের ডিন অধ্যাপক ওসমান গনী, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা গাজী মো. নাজমুল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘পরিবেশের ওপর বিপর্যয়কর অবস্থা ঠেকাতে আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় বনায়নসহ পরিবেশবান্ধব কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বাঘ গণনার গুরুত্ব তুলে ধরে উপমন্ত্রী বলেন, ‘বাঘের গায়ের ডোরা ডোরা দাগগুলো ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়, যেমন আমাদের একজনের আঙুলের ছাপের সঙ্গে অন্যজনেরটা মেলে না। অথচ কেউ কেউ বলেন, বাঘ গণনার দরকার কী?’ তিনি বলেন, ‘গাছ কাটলে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা সবাই জানি। তবু আমরা পরিবেশ দূষণ করছি। অথচ আমাদের বেশি বেশি করে গাছ লাগানো উচিত।’ শিল্পোন্নত দেশগুলোর অধিক মাত্রায় কার্বন নিঃসারণের কারণে বৈশ্বিক পরিবেশ হুমকির মুখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এককভাবে এই হুমকি থেকে আমাদের কেউ বাঁচাতে পারবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবেই এই হুমকি মোকাবিলা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ক্লাবের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা উপস্থাপন করেন ক্লাবের সচিব ও মুখপাত্র রাকিবুল ইসলাম। এ সময় পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ অবদানের জন্য সারা দেশ থেকে সাতজন সংগঠককে ‘পরিবেশ বন্ধু’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সভা শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরিবেশবান্ধব নাটিকা প্রদর্শন করা হয়।