Ajker Patrika
হোম > ফ্যাক্টচেক

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিয়ে প্রতিবেদনে ভারতেরই ছবি

ফ্যাক্টচেক  ডেস্ক

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিয়ে প্রতিবেদনে ভারতেরই ছবি
বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজের পোস্ট। ছবি: স্ক্রিনশট

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে শহরে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৬ শতাংশ এবং গ্রামে সেই হার ২০ শতাংশের বেশি। এই তথ্য দিয়ে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘জি ২৪ ঘণ্টা’ (Zee 24 Ghanta) একই তথ্যে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি একটি ছবি যুক্ত করেছে এবং জি ২৪ ঘণ্টার (Zee 24 Ghanta) ফেসবুক পেজেওছবিটি প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ, ছবিটি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

‘জি ২৪ ঘণ্টা’ (Zee 24 Ghanta) প্রতিবেদনটি গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রকাশ করার পর গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়। পাশাপাশি দেশের সংবাদমাধ্যম ‘আজকের দৈনিক’ও ছবিটি যুক্ত করে গত শুক্রবার সংবাদ প্রকাশ করেছে। ছবিতে একদল শিশুকে থালা-বাটি হাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

জি ২৪ ঘণ্টার (Zee 24 Ghanta) ফেসবুক পেজের পোস্টটি আজকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ২ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২৬। পাশাপাশি ১ হাজার ৭ শত কমেন্ট পড়েছে। এই পোস্টে অনেক অ্যাকাউন্ট থেকে নানা ধরনের মন্তব্য করতে দেখা গেছে। মো. রাইসুল ইসলাম (Md Raisul Islam) লিখেছেন, ‘ইন্ডিয়ার কত পার্সেন্ট মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে জানতে পারি কি?’ (বানান অপরিবর্তিত)

সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির একটি প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি ২০২১ সালের ১৯ মার্চ প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সংবাদের ছবির সঙ্গে ২০২০ সালে ভারতের নয়াদিল্লির বস্তিতে শিশুদের খাবার নেওয়ার ছবির সাদৃশ্য। ছবি: স্ক্রিনশট
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সংবাদের ছবির সঙ্গে ২০২০ সালে ভারতের নয়াদিল্লির বস্তিতে শিশুদের খাবার নেওয়ার ছবির সাদৃশ্য। ছবি: স্ক্রিনশট

ভিডিও থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ চলাকালীন লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ভারতের নয়াদিল্লিতে একটি বস্তির শিশুরা বিনা মূল্যে খাবার নিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।

ছবিটি একই তথ্যে ছবির স্টোরেজবিষয়ক ওয়েবসাইট গেটি ইমেজের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায়। এটি ২০২০ সালের ১৫ জুন প্রকাশিত হয়।

সুতরাং একদল শিশুর থালা-বাটি হাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ চলাকালীন ভারতের নয়াদিল্লিতে একটি বস্তির শিশুরা বিনা মূল্যে খাবার নিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি বাংলাদেশের মানুষের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসের বিষয়ে সংবাদ প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

ভারতে ভূত তাড়ানোর ভিডিওকে বাংলাদেশে মসজিদে মস্তকবিহীন লাশ বলে প্রচার

জলমহাল নিয়ে পুলিশ-জনতা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার দৃশ্যকে ‘আ.লীগের সংগঠিত প্রতিরোধ’ বলে প্রচার

ঝাল খাবার খেলে পাকস্থলীতে আলসার হয়! চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে

‘দেশ লুটেরা-মাফিয়াদের কবলে’—অন্তর্বর্তী সরকার নয়, আ.লীগের উদ্দেশে বলেছিলেন মির্জা ফখরুল

ঘামের মাধ্যমে মানুষের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়! চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে

ভোক্তা অধিকারের অভিযানকে রেস্তোরাঁয় সমন্বয়কদের চাঁদাবাজি বলে প্রচার

মধু খেলে অ্যালার্জি ভালো হয়! চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে

বন্ধু মোদির সঙ্গে দেখা করতে ভারতে ডোনাল্ড ট্রাম্প— ভিডিওটি পুরোনো

ছদ্মবেশে বাসায় ঢুকে শিশু চুরির ভিডিওটি সাজানো

দুই নারীর ব্যাগ থেকে লাশ উদ্ধারের দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের