ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
দেশজুড়ে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বাসা থেকে বের হয়ে যায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। কাউকে কিছু না জানিয়ে শুধু একটি চিরকুট লিখে যায় সে। এরপর অংশ নেয় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা থেকে শুরু হওয়া গণমিছিলে। চিরকুট পেয়ে হন্যে হয়ে খুঁজেছে তার পরিবার। বিকেল পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় বাধ্য হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন তার ভাই। পরে চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ে তার সন্ধান মেলে। ঘটনাটি গতকাল শুক্রবারের (২ আগস্ট)।
সপ্তম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি বিএম গেট এলাকার একটি স্কুলে অধ্যয়নরত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ওই শিক্ষার্থীর ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ছাত্রীটির বন্ধুদের বরাতে জানা গেছে, তার বয়ফ্রেন্ড শিবির (ছাত্রশিবির) করে। বয়ফ্রেন্ড তাকে ফুসলিয়ে আন্দোলনে নিয়ে গেছে।
গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ‘মুহাম্মদ আলাউদ্দিন আলো’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এমন দাবিতে পোস্ট করা হয়। পোস্টটি নিজের ওয়ালে শেয়ার করেন প্রবাসী অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ এই দাবি নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে। চট্টগ্রামে চিরকুট লিখে আন্দোলনে যোগ দেওয়া ছাত্রীটির কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবারই ‘আব্বু–আম্মু আমি আন্দোলনে গেলাম, বলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর চিরকুট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা।
আজকের পত্রিকার চট্টগ্রামের নিজস্ব প্রতিবেদকের কাছে ওই ছাত্রীর ভাই বলেন, ‘সে অনেক দিন ধরে আন্দোলনে যাবে বলছে। বাসায় অনুমতি দেয়নি। শুক্রবার কাউকে না বলে চিরকুট লিখে বের হয়ে যায়। পরে ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিকেলের দিকে অলংকার মোড়ে তার সন্ধান পাই। একটি বাসের হেলপার ফেসবুকে ছবি দেখে কল করে জানালে আমরা গিয়ে নিয়ে আসি। বাসায় আসার পর সে জানিয়েছে, ভাটিয়ারি থেকে মানুষজনের হেল্প নিয়ে জিইসিতে আসে সে। তারপর সেখান থেকে আন্দরকিল্লা গণমিছিলে অংশ নেয়।’
পরে ফেসবুকে ভাইরাল দাবিটি সম্পর্কে জানতে তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। আমার বোন ছোট মানুষ, ও তো ফোনই ব্যবহার করে না। সে নিজে নিজেই বাসা থেকে বের হয়ে আন্দোলনে চলে যায়।’