হোম > ফ্যাক্টচেক > বিদেশ

বিল গেটস করোনাভাইরাস তৈরি করেছেন?

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

২০১৫ সালের মার্চ মাস। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে টেড (টেকনোলজি, এন্টারটেইনমেন্ট, ডিজাইন) কনফারেন্সে হাজির হয়ে বিল গেটস এক চরম হুঁশিয়ারি দিলেন।

সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘বিশ্বে পরবর্তী মহামারির জন্য আমরা প্রস্তুত নই’। বিশ্বের কাছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভালোভাবে প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বিল গেটস। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী কয়েক দশকের মধ্যে এক কোটি মানুষ মারা যাবে। কোনও মিসাইল নয়, জীবাণুই মারবে। যা যুদ্ধের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক হবে’।

তার এই দূরদর্শী বক্তব্য সেসময় বিবিসিসহ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ তার কথার খুব একটা গুরুত্ব দেননি।

কিন্তু নভেল করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর তার সেই বক্তৃতা বারবার শুনছে মানুষ। বিল গেটস কী বলেছেন সেটিতে নয়, কেন তিনি এমনটি বলেছিলেন, সে বিষয়েই বেশিরভাগ মানুষের আগ্রহ।

বিল গেটসকে নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। অনেকের অভিযোগ, বিল গেটস আসলে বিশ্বের এলিট বা সুবিধাভোগী শ্রেণীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য কিছু মানুষের বিশ্বাস, বিল গেটস আসলে পৃথিবীকে জনশূন্য করার চেষ্টা করছেন।

আবার অন্য একদল আছেন, যাদের অভিযোগ, বিল গেটস টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করছেন। কেউ কেউ আরও একধাপ এগিয়ে অভিযোগ তুলছেন, বিল গেটস টিকার নামে সব মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দিতে চান।

যড়যন্ত্র তত্ত্বের শুরু যেভাবে
রোরি স্মিথ ‘ফার্স্ট ড্রাফট নিউজ’ নামের একটি ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী ওয়েবসাইটে কাজ করেন। তিনি বলছেন, বিল গেটসকে নিয়ে বহু রকমের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সঙ্গে বিল গেটসকে জড়িয়ে যেসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হয়েছে, সেগুলো শুধু গতবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসে টেলিভিশন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তত ১২ লাখবার উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমীক্ষাটি চালিয়েছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং জিগনাল ল্যাবস।

এরকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সাধারণত ফেসবুক গ্রুপে ছড়ানো হয়, এরপর সেগুলো শেয়ার হয় লাখ লাখবার।

ফার্স্ট ড্রাফট নিউজ দেখেছে, চীনা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং সাইট টিকটক এ ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নতুন আখড়া হয়ে উঠেছে।

বিল গেটসকে নিয়ে বেশকিছু আজগুবি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব চালু আছে। এ নিয়ে বিবিসির অ্যান্টি-ডিসইনফরমেশন বা ভুয়া তথ্যবিরোধী টিম একটি অনুসন্ধান চালিয়েছে।

টিকা নিয়ে পরীক্ষা ও আফ্রিকায় মৃত্যু
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন আফ্রিকা এবং ভারতে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। এর ফলে সেখানে হাজার হাজার শিশু হয় মারা গেছে, নয়তো অপূরণীয় শারীরিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। একটি পোস্টে তো এমন দাবিও করা হয়েছে যে, এ কারণে ভারতে বিল গেটসের বিচার চলছে।

টিকার নামে গর্ভপাতের ওষুধ
কেনিয়ায় তিনি ধনুষ্টঙ্কারের এমন টিকা চালু করেছেন যার ভেতরে আসলে আছে গর্ভপাতের ওষুধ।

বিশ্বকে মানবশূন্য করতে চাইছেন গেটস
‘দ্য নিউ আমেরিকান ম্যাগাজিন‌’ বলে একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। এখানেও সেই একই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব- বিল গেটস টিকা আর গর্ভপাতের মাধ্যমে বিশ্বকে মানবশূন্য করতে চাইছেন। এটিতে আবার বিল গেটসের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গাঁটছড়া আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই ভিডিও শেয়ার হয়েছে সাড়ে ছয় হাজারবার এবং দুই লাখবারের বেশি এটি দেখা হয়েছে।

মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকাতে চান
বেশ কিছু ভিডিওতে অভিযোগ করা হচ্ছে, বিল গেটস কোভিড টিকার মাধ্যমে মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢোকাতে চান। ইউটিউবে এমন ভিডিও লাখ লাখ শেয়ার হয়েছে।

ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ব্যাখ্যা
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, নিজের এবং স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের জনস্বাস্থ্যের জন্য শত শত কোটি ডলার ঢেলেছেন। এমন একজন ব্যক্তি কীভাবে কোভিড-১৯ ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলেন?

ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক জোসেফ উসিনস্কি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সম্পর্কে বেশ কিছু বই লিখেছেন। তার মতে, বিল গেটস ধনী এবং বিখ্যাত বলেই ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

‘বেশিরভাগ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আসলে ক্ষমতাবান লোকদের নিয়েই, তাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক কোনো কিছুর অভিযোগ আনা হয়‌’, বলছেন তিনি।

‘আর ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো প্রায় একই রকম, শুধু নামগুলো বদলে যায়। বিল গেটসের আগে ছিল জর্জ সোরোস, কিংবা রথচাইল্ডস বা রকেফেলারদের নাম’। যোগ করেন অধ্যাপক উসিনস্কি।

বেশিরভাগ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মৃত্যু ঘটে আসলে খুব বেশি ডালপালা গজাবার আগেই। তবে কিছু টিকে থাকে। সাধারণত যেসব তত্ত্বে ভিলেনরা থাকে খুব বড় কেউ এবং যে ইস্যুতে মানুষের খুব বেশি আগ্রহ থাকে, সেরকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বেশ দীর্ঘায়ু পায়।

জোসেফ উসিনস্কি বলেন, ‘ধনী লোকজন এবং বড় করপোরেশনগুলোর বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের এই যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, এর কারণ এরকম আশংকা আমাদের মধ্যে আছে। এরকম ভয় বা আশংকা আসলে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের এক বিরাট মশলা’।

জোসেফ উসিনস্কি মনে করেন, এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। কিন্তু তারপরও মানুষ এগুলো বিশ্বাস করতে পছন্দ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক চতুর্থাংশ মানুষ এবং ৪৪ শতাংশ রিপাবলিকান বিশ্বাস করে, বিল গেটস কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহার করে মানুষের ত্বকের নিচে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দিতে চান। এই জরিপটি চালিয়েছিল ইয়াহু নিউজ এবং ইউগভ।

যেমন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গত বছর একটি গবেষণার জন্য তহবিল দিয়েছিল, যেটি চালিয়েছিল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। কোনো রোগীর টিকা নেওয়ার রেকর্ড বা ইতিহাস বিশেষ কোনো রঙের প্যাটার্নের মধ্যে সংরক্ষণ করা যায় কিনা, সেটা দেখা ছিল এই গবেষণার লক্ষ্য। খালি চোখে এটি দেখা যাবে না এবং এটি টিকা দেওয়ার সময়ই মানুষের ত্বকের নিচে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে।

ষড়যন্ত্র তত্ত্বের শুরুটা কীভাবে তা অনুমান করা কঠিন। কিন্তু এরকম আজগুবি তত্ত্ব বহু মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি ইন্টারনেট অনেক সহজ করে দিয়েছে।

উসিনস্কির মতে, ইন্টারনেট যুগের আগে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তাদের নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের বদৌলতে ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তার মানুষ, ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে দ্রুত এসব ছড়িয়ে যাচ্ছে। কাজেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এখন ইন্টারনেটের আগের জমানার চেয়ে অনেক বেশি মূলধারায় চলে আসার সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্ব মহামারির সময় আরও বেশি বাড়ছে। কারণ মানুষ এখন মনস্তাত্ত্বিকভাবে অনেক বেশি নাজুক অবস্থায় আছে।

তার মতে, মানুষ এরকম সংকটের সময় সবার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কোনো কিছুর অর্থ বোঝার চেষ্টা করে।

উসিনস্কি বলেন, ‘যে কোনো তথ্য পেলেই আমরা তার মানে বোঝার চেষ্টা করি। আর তখনই শুরু হয় গুজব ছড়ানোর কাজ। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তখন এই শূন্যস্থান পূরণ করতে থাকে, বিশেষ করে বিল গেটস জাতীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় এ পর্যন্ত ৩০ কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এর মধ্যে বিপুল অর্থ ছাড় করা হয়েছে।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন কী বলছে?
এক বিবৃতিতে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বলেছে, আমাদের সম্পর্কে অনলাইনে যেসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে এবং এর ফলে জনস্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হতে পারে সেটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

‘এরকম একটা সময়, যখন বিশ্ব এক অভূতপূর্ব স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সংকটের মুখে, তখন কিছু লোক যে এভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে, তা খুবই পীড়াদায়ক। অথচ এখন আমাদের সবার উচিত মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সহযোগিতা করা। কোভিড-১৯–এর বিস্তার ঠেকাতে যে ভালো কাজটা এখন আমরা সবাই করতে পারি তা হলো সঠিক তথ্য প্রচার করা’।

বিল গেটস বলেন, তাকে ঘিরে যে এতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে সেটি জেনে তিনি বিস্মিত।

‘এরকম পাগলামি যে চলছে, তা আসলেই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা যখন টিকা তৈরি করবো, আমরা চাই মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগ মানুষ এই টিকা নিক। এখন যদি তারা এরকম একটা ষড়যন্ত্রের কথা শোনে এবং লোকে টিকা নিতে না চায় তখন তো এই রোগে মানুষের মৃত্যু অব্যাহত থাকবে’।

‘আমি একরকম বিস্মিত যে, এসব আমাকে ঘিরেই বলা হচ্ছে। আমরা তো কেবল অর্থ দিচ্ছি, চেক লিখছি... হ্যাঁ, আমরা চাই শিশুদের যেন রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু এর সঙ্গে তো মাইক্রোচিপ বা সেরকম কিছুর সম্পর্ক নেই। এসব শুনলে মাঝে-মাঝে হাসি পায়’, বলেন গেটস।

বিল গেটস এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডেরেক মুলারের অত্যন্ত জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘ভেরিটাসিয়াম (Veritasium)–এ উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, আমার কথা মিলে গেল বলে কোনও সুখানুভূতি নেই আমার। আমার কি আরও প্ররোচিত করা উচিত ছিল?’ মুলার জানতে চেয়েছিলেন যে, কী করে মহামারির ব্যাপারে বিল গেটস এত নিশ্চিত ছিলেন? মাইক্রোসফট প্রধান বলেন, ‘নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ভাইরাস রয়েছে। সেগুলো একের পর এক আসবে। শ্বাসযন্ত্রের রোগগুলো অত্যন্ত ভয়ের। কারণ সংক্রমিত হওয়ার পরেও মানুষ উড়োজাহাজ কিংবা বাসে চড়ে, চলাফেরা করে। যেখানে ইবোলার মতো ভাইরাস সংক্রমণ হলে হাসপাতালেই কাটাতে হয় অধিকাংশ সময়।’

মুলার ভবিষ্যৎ বিপর্যয়ের ব্যাপারে আলোকপাত করতে বললে বিল গেটস বলেন, এর একটি জলবায়ু পরিবর্তন। এটিতে প্রতি বছর মৃতের সংখ্যা বাড়বে। মহামারিজনিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক হবে। অন্যটি ‘বায়ো-টেরোরিজম’। যে ক্ষতি করতে চাইবে, সে নিজের খরচে কোনো ভাইরাস তৈরি করবে। যার ফল মহামারির থেকেও ভয়ঙ্কর হবে।

বিল গেটস স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ফের ভয়ঙ্কর মহামারি আসবে। সেটিতে প্রতিরোধ করার মতো ক্ষমতা মানুষের থাকবে না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল ঠেকাতে আজান— ভাইরাল ভিডিওটি পাকিস্তানের

লস অ্যাঞ্জেলেসে আগুন নেভাতে গিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হয়নি, ভাইরাল ভিডিওটি চিলির

ঢাকায় কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষকে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা দাবি বিজেপি নেতার

নূর হোসেন দিবসে রক্তাক্ত কৃষক লীগের নেত্রীকে ‘ধর্ষিত হিন্দু নারী’ বলে এক্সে ভারতীয়দের গুজব

নাসার মহাকাশযান মেরিনার ১ কোডিংয়ে হাইফেনের ভুলে ধ্বংস হয়নি, সত্যিটা জানুন

ভারতের নির্বাচন: বাংলাদেশি আলেমের পুরোনো ভিডিও দেখিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী প্রচার

‘ভারতে জাল ভোট দিতে কৃত্রিম আঙুল’, ভাইরাল ছবিটির নেপথ্যে

‘হিট স্ট্রোকে ফেরিওয়ালার মৃত্যু’ দাবিতে ভাইরাল ছবিটি ছয় বছরের পুরোনো

নির্বাচনী প্রচারণার পাঁচ দিনে মোদির যত মিথ্যাচার, লাগাম পরাবে কে

‘ডলি চাইওয়ালা’ উইন্ডোজের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বিল গেটস কি এমন ঘোষণা দিয়েছেন?

সেকশন