গত কয়েক ঘণ্টায় ফেসবুকে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে কোনো একটি জায়গায় এক ব্যক্তি শুয়ে আছেন। ওই ব্যক্তির পরনে কালো জ্যাকেট ও জিনস প্যান্ট। মাথার কাছে একটি ট্রলি।
ফেসবুকে কয়েক হাজার আইডি থেকে ছবিটি পোস্ট করতে দেখা গেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের দুবাই বিমানবন্দরে তোলা ছবি এটি।
ফ্যাক্টচেক
গতকাল (১১ ডিসেম্বর) দুরবিন নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে প্রচ্ছদ ছবি (থাম্বনেইল) হিসেবে এই ছবি ব্যবহার করা হয়।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় ৩ লাখের বেশিবার ভিডিওটি দেখা হয়েছে। ভিডিওতে ব্যবহার করা থাম্বলেইনটিই ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চে পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ছবিটি মুরাদ হাসানের নয়। ছবি কেনাবেচার ওয়েবসাইট শাটারস্টকে থাইল্যান্ডের ফটোগ্রাফার চানিয়ানুচ ওয়ানাসিনলাপিনের আইডিতে ছবিটি পাওয়া যায়।
ওই ওয়েবসাইটে ছবিটির একটি আইডি নম্বরও আছে—৬৯৫৭৩৩০২৯। ফ্লাইট দেরি হওয়ার কারণে যাত্রীর অবস্থার বর্ণনা করার ‘কনসেপ্ট’ হিসেবে ছবিটি তোলা হয়। অর্থাৎ, এটি পরিকল্পিত ফটোগ্রাফি।
শাটারস্টকে ওই ছবি বেশ আগে আপলোড করা হয়। ফলে এটি সাম্প্রতিক কোনো ছবি নয়, মুরাদ হাসানের তো নয়ই।
মুরাদ হাসান সম্প্রতি দেশ ছাড়লে তাঁর অন্য আরেকটি ছবি ভাইরাল হয়। সেটিও পুরোনো ছবি। আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করা মুরাদ হাসানকে নিয়ে জনমনে প্রবল আগ্রহ থাকলেও পুরোনো বা ভিন্ন বিষয়ের ছবি প্রচার করে তাঁর অবস্থা বর্ণনা করা একরকমের সাইবার অপরাধ।
সিদ্ধান্ত
দুবাই বিমানবন্দরে মুরাদ হাসান শুয়ে আছেন, ফেসবুকে এই দাবিতে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি তাঁর ছবি নয়। এটি একজন থাই ফটোগ্রাফারের তোলা পুরোনো ছবি।