অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বে প্রথমবারের মতো মানবদেহে প্রতিস্থাপিত হলো শূকরের হৃৎপিণ্ড। যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা সফলভাবে ৫৭ বছর বয়সী এক ব্যাক্তির দেহে জিনগতভাবে পরিবর্তিত শূকরের একটি হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, অঙ্গদানের দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি সমাধানে সহায়তা করতে পারে এটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড মেডিকেল স্কুল গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, ঐতিহাসিক এই ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেভিড বেনেট নামের ৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির দেহে সাত ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর সফলভাবে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, বেনেটের বাঁচার শেষ আশা ছিল এই অস্ত্রোপচার। তবে এটি এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না যে তিনি কত দিন এই শূকরের হৃৎপিণ্ড নিয়ে বাঁচবেন।
বিবিসি জানায়, বেনেটের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁর দেহে মানব হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছিল না। অস্ত্রোপচারের পর বেনেটকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এই ঐতিহাসিক অস্ত্রোপচারের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের বাসিন্দা বেনেট বলেন, ‘হয় করো অথবা মরো—এ ছাড়া আমার কাছে আর সুযোগ নেই। আমি বাঁচতে চাই।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন নববর্ষের শুরুতে এই অস্ত্রোপচারের জরুরিভাবে অনুমোদন দেয়।
এই অস্ত্রোপচারের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক বার্টলি গ্রিফিথ বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী অস্ত্রোপচার ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের কার্ডিয়াক জেনোট্রান্সপ্লান্টেশন প্রোগ্রামের সহপ্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন জানান, অস্ত্রোপচারটি কয়েক বছরের গবেষণার ফল। শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রথমে একটি বানরের দেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।
গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে শূকরের কিডনি সফলভাবে মানবদেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। তবে যার দেহে তা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল ওই ব্যক্তি ক্লিনিক্যালি মৃত ছিল।