Ajker Patrika
হোম > স্বাস্থ্য

গুড় খাওয়ার সময় এখন

আলমগীর আলম

গুড় খাওয়ার সময় এখন

খাবারে মিষ্টি স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা উপাদানের মধ্যে চিনি অন্যতম। তবে বর্তমানে চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা দেখা যায় মানুষের মধ্যে। আবার অনেকে বেছে নিচ্ছেন এর বিকল্প। চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুরের গুড় পছন্দের তালিকায় রাখা যায়। যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে গুড় ব্যবহার করা যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের জন্য গুড় হতে পারে বিশেষ বিকল্প। ইদানীং স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খেজুরের গুড়ের চিনি।

গুড় সাদা চিনির চেয়ে স্বাস্থ্যকর

৯ গ্রাম সাদা চিনিতে থাকে ২০ ক্যালরি, যা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মধ্যে ৬৫। সাদা চিনি রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। একই পরিমাণ গুড়ে থাকে প্রায় ১৫ ক্যালরি। এর গ্লাইসেমিক সূচক ৪২; যা নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত। শুধু গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকার অর্থ এই নয়, এটি অনেক বেশি খাওয়া যাবে।

গুড় খাওয়ার উপকারিতা

  • রক্তস্বল্পতা দূর করে: গুড়ে প্রচুর আয়রন থাকে বলে শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে রক্তস্বল্পতার রোগীদের জন্য গুড় উপকারী। প্রতি ১০ গ্রাম গুড়ের মধ্যে ১৬ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে।
  • পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে: গুড়ে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে। এটি সুস্থ থাকলে হজমের প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে এবং পেট ফাঁপা হবে না।
  • শরীর শক্তিশালী করে: গুড়ে প্রচুর শর্করা থাকে, যা শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-বি ও খনিজ থাকায় শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে শরীর সুস্থ রাখে।
  • রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়: গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • হাড় মজবুত করে: গুড়ে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এগুলো হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে মুক্ত র‌্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা ও উজ্জ্বল করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: গুড়ে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এ ছাড়া গুড় খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন এটি শ্বাসকষ্ট দূর করে, মাসিকের সমস্যা কমায়, শরীর উষ্ণ রাখে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের পাচক এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিয়ে লিভার পরিষ্কারে সাহায্য করে।

গুড় কীভাবে খাবেন

পিঠাপুলি, ক্ষীর ও পায়েসের সঙ্গে ঐতিহ্যগতভাবে আমরা গুড় খেয়ে থাকি। এ ছাড়া গরম পানির সঙ্গে মিশিয়েও পান করা যায়। কিংবা চায়ে চিনির বদলে গুড় খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁদের দিনে ১০ গ্রামের বেশি গুড় খাওয়া ঠিক নয়। যাদের বয়স কম, ডায়াবেটিসের সমস্যা নেই; তারা কিছুটা বেশি খেতে পারে। ভাত খাওয়ার পর নিয়মিত এক চামচ গুড় খেলে ওজন বাড়বে।

লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

রোজায় সঠিক পুষ্টি

স্বাস্থ্যগত সঠিক নিয়মে রোজা পালনের চেষ্টা করুন

কফি পানের উপকারিতা এবং সতর্কতা

রোজায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে

চরম তাপমাত্রা বার্ধক্যের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে: গবেষণা

জাতীয় প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে: ডা. সায়েদুর রহমান

স্তন ক্যানসারে প্রতি মিনিটে বিশ্বে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত চার: ডব্লিউএইচও

১ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহারেই বাড়তে পারে মায়োপিয়ার ঝুঁকি: গবেষণা

শিশুদের ভাইরাসজনিত জ্বর হলে কী করবেন

ডিম্বাশয় ক্যানসারের ঝুঁকিতে যারা