নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৪ হাজার শিশুর (২৪ শতাংশ) মৃত্যু হয় শুধু নিউমোনিয়ার কারণে। আর নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়। নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে।
আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল মিলনায়তনে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস এবং বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবজাতক স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় কারিগরি ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলেও অনেক অভিভাবক হাসপাতালে আনতে চায় না। গুরুতর হলেই কেবল আনা হয়। এতে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’
এম আর খান শিশু হাসপাতালের (একাডেমিক) পরিচালক অধ্যাপক ড. নবোকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস এবং বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস আমরা এক সঙ্গে পালন করছি। যাতে সচেতনতা বাড়িয়ে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পারি। আমাদের দেশে অধিকাংশ নবজাতক শিশুরমৃত্যুর হার প্রিম্যাচুরিটি ও কম ওজনের কারণে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর হার বেশি। নিউমোনিয়ায় প্রতি বছর ২৪ হাজার শিশু মারা যায়।’
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক পালমোনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাকিবুর রহমান ও নিওনাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচি প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. জহুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান, এম আর খান শিশু হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রে. জেনারেল (অব.) ডা. আবদুল্লাহ্-আল মামুন প্রমুখ।