নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশে উচ্চ রক্তচাপজনিত অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
বক্তারা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার মাত্র ৩৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদ্রোগজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন। এসব মৃত্যুর ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগ।
কর্মশালায় এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) উপ–মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণে পরিবর্তন আনা জরুরি।’
উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনে ৪ জনই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না। এ ক্ষেত্রে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে।