Ajker Patrika
হোম > স্বাস্থ্য

টিকার সংকট, বিশ্বজুড়ে বাড়ছে কলেরা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

টিকার সংকট, বিশ্বজুড়ে বাড়ছে কলেরা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

বিশ্বজুড়ে গত বছর কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ৪ হাজার মানুষ মারা গেছে এই রোগে। এতে আক্রান্ত হয়েছিল ৬ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ। এমন সময়ে এই রোগ ছাড়াচ্ছে, যখন এর টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। 

বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালে যতসংখ্যক মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে, তা এর আগের বছরের তুলনায় বেশি। এ কারণে তৃতীয় মাত্রার জরুরি অবস্থা জারি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যা স্থানীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা। 

এদিকে যেসব দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি ছিল, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মালাউই ও হাইতি। এর মধ্যে মালাউইতে মারা গেছে ১ হাজার ৮৮১ জন। আর হাইতিতে মারা গেছে ১ হাজার ১৫৬ জন। মালাউইতে এই মৃত্যু রেকর্ড ছুঁয়েছে। বলা হচ্ছে, দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব এটি। 

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি সংস্থা অক্সফামের আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলবিষয়ক প্রকল্প পরিচালক মাচসিন্দা মারংওয়ে বলেন, অবিশ্বাস্যভাবে এই রোগ ছড়িয়েছে এবং মৃত্যুর খবরগুলো ভয়ংকর। এর কারণে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রাদুর্ভাবটি একটি অনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যসংকটে পরিণত হতে যাচ্ছে। 

এদিকে ২০২৩ সালেই যে কলেরার বিস্তার বন্ধ হয়েছে, এমনটা নয়। নতুন বছরের শুরুতেই কমপক্ষে ৩০টি দেশে এই রোগ ছড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। জাম্বিয়া জানিয়েছে, সেখানে গত অক্টোবর থেকে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ১৭ জন মারা গেছে এবং পাঁচ শতাধিক নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হাকাইন্ডে হিচিলমার দেশটির নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে যান। 

এদিকে কলেরার প্রাদুর্ভাব নিয়ে আফ্রিকার এই অঞ্চলে মিথ্যা তথ্যও ছড়ানো হচ্ছে। জাম্বিয়ায় রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অসুখ পার্শ্ববর্তী মোজাম্বিক থেকে এসেছে। এদিকে মোজাম্বিকে এমন ভুয়া তথ্য নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। সহিংসতায় কমপক্ষে তিনজন প্রাণ হারিয়েছে এবং ভবন ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সরকার এই রোগ ছড়িয়ে দিয়েছে। 

এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যসংকট থেকে বেরিয়ে আসতে অর্থ চেয়েছেন অক্সফামের কর্মকর্তা মারংওয়ে। তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করার জন্য অর্থ প্রয়োজন। 

এই পরিস্থিতিতে টিকা-সংকটের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে টিকা নিয়ে কাজ করা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) গত বছরের শেষ দিকেই জানিয়েছিল, টিকার যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত থাকবে। 

পানিবাহিত এই রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টিও সামনে এসেছে। গত বছর আফ্রিকায় ব্যাপক বন্যা হয়। এরপরই মূলত কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করে।

৪১ জেলায় সিভিল সার্জন নিয়োগ

২০৫০ সাল নাগাদ স্থূলতায় ভুগবে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক

অপুষ্টিতে ভোগা কিশোরীদের সিংহভাগই দক্ষিণ এশিয়ার: গবেষণা

১০–২৯ বছর বয়সী নারীদের আত্মহত্যার হার বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ

দেশে জিকা ভাইরাসের প্রথম ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত

২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের দাবি

২৯ সিভিল সার্জনকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন

দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত, আক্রান্ত ৫

স্বাস্থ্যকর হলেও নিয়ম মেনে খেতে হবে এসব খাবার

রোজায় সঠিক পুষ্টি