হোম > স্বাস্থ্য

দিনের কোন সময় ব্যায়াম করবেন

ফিচার ডেস্ক

যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের অধিকাংশই সকালে ঘুম থেকে উঠে লেগে পড়েন। তবে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস যাঁদের নেই, তাঁরা ফুরসত খোঁজেন দুপুর অথবা রাতে। প্রশ্নটা এখানেই, শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করার আদর্শ সময় কোনটা? বছরের পর বছর এ বিষয়ে গবেষণা করে গবেষকেরাও একেক সময় একেক তথ্য পেয়েছেন। দিনের ঠিক কোন সময় ব্যায়াম করা উচিত এর সঠিক কোনো উত্তর না পাওয়া গেলেও দিনের বিভিন্ন সময়ে ব্যায়ামের ভালো ও খারাপ দিক ঠিকই নির্ণয় করা গেছে।
 
সকালের ব্যায়াম 
হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখে ও ঘুম ভালো হতে সহায়তা করে ২০২২ সালের এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, সকালে উঠে ব্যায়াম করলে হৃৎস্বাস্থ্য ভালো থাকে, ঘুম ভালো হয় ও মন থাকে ফুরফুরে। 

বিএমআই কমাতে সাহায্য করে
‘ওবিসিটি’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, সকালে ব্যায়াম করলে বডি মাস ইনডেক্স কমে। গবেষকদের মতে, যাঁরা সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্য়ে ব্যায়াম করেন, তাঁদের বডি মাস ইনডেক্স যাঁরা দুপুরে বা রাতে ব্যায়াম করেন, তাঁদের তুলনায় কম।

দুপুরের ব্যায়াম

গভীর ঘুম হতে সাহায্য করে
ক্রীড়াবিদদের ওপর পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে ব্যায়াম করার চেয়ে দুপুরে ব্যায়াম করার ফল তুলনামূলক ভালো। এর মধ্য়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে উঠে ব্যায়াম করার চেয়ে যদি একটু দুপুরের দিকে ব্যায়াম করা যায়, তাহলে লম্বা সময় পর্যন্ত ঘুম হয়। 
 
হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখে
সকালে উঠে ব্যায়াম করলে হৃৎস্বাস্থ্য ভালো থাকে। এদিকে সেই ব্যায়াম যদি একটু দুপুর নাগাদও করা হয়, তাতেও ক্ষতি নেই। গবেষকদের পরামর্শ, ভালো ফল পেতে চাইলে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্য়ে ব্যায়াম করা হৃৎস্বাস্থ্য়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

সন্ধ্যার পর ব্যায়াম

ওজন ঝরানোর জন্য আদর্শ
সম্প্রতি ‘ডায়াবেটিস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাড়তি ওজন ঝরাতে ব্যায়াম করার জন্য আদর্শ সময় হচ্ছে সন্ধ্যাবেলা। গবেষকেরা ৩০ হাজার মধ্যবয়সী স্থূলকায় ব্যক্তির ওপর জরিপ করে দেখেছেন, যাঁরা সন্ধ্যায় নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের মৃত্যুর হার সকালে বা দুপুরে যাঁরা ব্যায়াম করেন, তাঁদের তুলনায় ২৮ শতাংশ কম। 

পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ায়
‘স্পোর্টস সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সন্ধ্যার অগ্রভাগে হরমোন ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে বলে এ সময় ব্যায়াম করলে পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

তবে এরপরও কথা থাকে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, একেবারেই ব্যায়াম না করার চেয়ে দিনের কোনো না কোনো ভাগে সময় বের করে খানিকটা শরীরচর্চা করে নেওয়া ভালো। আর তা হতে পারে হাঁটা, ভারোত্তোলন, কার্ডিও বা পছন্দের যেকোনো ব্যায়াম।

সূত্র: বডি নেটওয়ার্ক, হেলথলাইন ও অন্যান্য

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ

শীতে যেসব খাবার মন শান্ত রাখবে

পুরুষ বন্ধ্যত্ব: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

শীতকালীন নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন যেভাবে

রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে করণীয়

থাইরয়েড হরমোন কম থাকার লক্ষণ

ওষুধকে ফাঁকি দিতে মরার ভান করে ক্যানসার কোষ—গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য

সাধারণের স্বাস্থ্যসেবা: মিলিয়ে যাচ্ছে ‘সূর্যের হাসি’

ব্লাড ক্যানসার আর মরণব্যাধি নয়, জিন থেরাপিতে অভাবনীয় সাফল্য