অনলাইন ডেস্ক
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কল্যাণে গত ২০ বছরে খাদ্য উৎপাদন বিস্ময়করভাবে বেড়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বে এর সুষম বণ্টন হচ্ছে না। ফলে গরিব দেশগুলোয় সীমাহীন খাদ্য সংকট চলছে। গত এক দশকে বিশ্বের ৯১টি দেশের দুই বছরের কম বয়সী মাত্র এক-তৃতীয়াংশ শিশু পর্যাপ্ত খেতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। অর্থাৎ এ সব দেশের দুই-তৃতীয়াংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
ইউনিসেফের গতকাল বুধবারের প্রতিবেদন মতে, দৈনিক যে পরিমাণ ন্যূনতম খাবার খাওয়া দরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোর ৬-২৩ মাস বয়সী অর্ধেক শিশু তা খেতে পায় না। তা ছাড়া এ বয়সী শিশুদের যে রকম বৈচিত্র্যময় খাবার প্রয়োজন, তা খেতে পায় না অর্ধের বেশি শিশু। জলবায়ু সংকট, স্থানীয় বা আঞ্চলিক সংঘর্ষের পাশাপাশি করোনার কারণে এ সমস্যা আরও বেড়েছে।
সংস্থাটির বিশ্লেষণ, বিশ্বে ১ কোটি ১০ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। পুষ্টিহীনতার শিকার শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে থেকে যাবে, নানা ধরনের রোগে ভুগবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। তাই যুক্তরাজ্যসহ উন্নত বিশ্বকে খাতটিতে বরাদ্দ বাড়াতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আগামী ৫ বছরে ৫ কোটি শিশুর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের জোগান দিতে দরকার ৬০ কোটি পাউন্ড। এ জন্য ইউনিসেফের তহবিলে যুক্তরাজ্যকে বরাদ্দ বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ নীতি নির্ধারক জেনি ভন। প্রসঙ্গত, ইউনিসেফের অন্যতম বড় দাতা দেশ যুক্তরাজ্য। চলতি বছরের মে মাসে দেশটি এ বাবদ বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। ফলে ২০১৯ সালের তুলনায় চলতি বছর সংস্থাটির তহবিল ১০ কোটি ডলার কমতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।