দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নতুন করে আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের নতুন এ ধরন পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ওমিক্রনের শিকার এমন ৫৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন আক্রান্তরা সবাই ঢাকার বাসিন্দা।
গতকাল রোববার রাতে করোনার বৈশ্বিক তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর, বি) এ ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে।
জিআইএসএআইডির তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। মোট শনাক্তের মধ্যে মোট ৩০ জন নারী।
নতুন করে ওমিক্রনে সংক্রমিতদের বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া হয়নি। তবে আগে শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে ১৮ জনই রাজধানীর মহাখালীর বাসিন্দা। এ ছাড়া বাসাবোর ৬ জন, উত্তরার ৪ জন, চানখারপুলে ৪ জন এবং যশোরের ৩ জন।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ে ফেরত নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। তাঁরা বর্তমানে সুস্থ। দেশে ওমিক্রনে শিকারের সংখ্যা বাড়লেও এখনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৩০ টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে ওমিক্রন। গত ১২ জানুয়ারি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দেশে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রোগীই ওমিক্রনে আক্রান্ত। এ জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পরা, সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার।
তবে মাঠ পর্যায়ের চিত্র বলছে, সভা-সমাবেশ কিছুটা এড়ানো গেলেও পর্যটনকেন্দ্রে ভিড়, হাট-বাজার ও গণপরিবহনে মাস্ক নিশ্চিত করা যায়নি। আর স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতা তো আছেই।