হোম > স্বাস্থ্য

চিকিৎসকের দিনে রোগী দেখার সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করে দেবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একজন চিকিৎসক দিনে কতজন রোগী দেখতে পারবেন, সে বিষয়ে আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনটা করছি, সেখানে এটা রাখব—একজন চিকিৎসক কতসংখ্যক রোগী দেখতে পারবেন। সঠিক সময়ে সঠিক রোগী দেখার ব্যবস্থা যাতে হয়। ওই ভাবেই আমরা আইনটা করব। অল্প রোগী দেখবেন, ভালোভাবে দেখবেন। রোগীদের সময় দিয়ে দেখতে হবে। তখন ডাক্তারদের প্রতি রোগীদের আস্থা আসবে।’ 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায় রোগীর যদি কোনো ক্ষতি হয়, সেটা কোনোভাবেই আমি মেনে নেব না। সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক তাঁর কাজের সময়ের মধ্যে যদি হাসপাতালে না থেকে অন্য কোথাও গিয়ে অপারেশন বা এমন কিছু করে, তবে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’ 

সাংবাদিকে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তার এবং রোগীর সম্পর্কটা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আমাদের দেশের চিকিৎসকেরা কোনো অংশেই ভারত, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের থেকে কম না। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের চিকিৎসকদের কাউন্সেলিংয়ের সময়টা দেওয়ার অভাব।’ 

চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা নেই বলে অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে, মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল বলেন, ‘ওখানে গিয়ে যে খুব একটা ভালো কিছু হবে, সেটা না। আমি তো ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসেছি। ভুটানের রোগী আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছে। ভুটানের রাজা বাংলাদেশে এসে অনেক খুশি। আমরা ভুটানে একটা বার্ন ইউনিট বানিয়ে দিচ্ছি। আমাদের সক্ষমতা প্রকাশ করার জন্য বাইরে আমরা হাসপাতাল বানানোর অনুমতি দিয়েছি।’ 

ওষুধ এবং অ্যানেসথেসিয়ার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—সেই সঙ্গে রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর চার প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটা কড়া নির্দেশ দিয়েছি, যাতে তিনি এটা তদন্ত করেন। যে কয়জন রোগী মারা গেছেন, তাদের কী স্যালাইন ইউজ করা হয়েছিল বা হয়েছিল কি না। একই সঙ্গে ওষুধের গুণগত মান ভালো না, কেন ভেজাল, এটা নিয়ে আমি কাজ করছি এবং ডিজি ড্রাগকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দিয়েছি।’ 

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল বা পরশু দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ঈদ ও নববর্ষের ছুটি। এরই মধ্যে না জানিয়ে হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদে যাদের ডিউটি থাকবে, তা কোনোভাবেই ব্যাহত করা যাবে না। এ বিষয়টি আমি নিজে মনিটর করব। আমি কখন, কোথায়, কোন হাসপাতালে যাব, সেটা বলব না। আমি নিজেই এ কয়দিন হাসপাতালগুলো মনিটর করব। এবং সেটা শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও।’

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ

শীতে যেসব খাবার মন শান্ত রাখবে

পুরুষ বন্ধ্যত্ব: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

শীতকালীন নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন যেভাবে

রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে করণীয়

থাইরয়েড হরমোন কম থাকার লক্ষণ

ওষুধকে ফাঁকি দিতে মরার ভান করে ক্যানসার কোষ—গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য

সাধারণের স্বাস্থ্যসেবা: মিলিয়ে যাচ্ছে ‘সূর্যের হাসি’

ব্লাড ক্যানসার আর মরণব্যাধি নয়, জিন থেরাপিতে অভাবনীয় সাফল্য