লিনা আক্তার
অনেকের ধারণা, ডায়াবেটিস শুধু বয়স্কদের হয়। বর্তমানে তরুণ-তরুণীরাও আশঙ্কাজনক ডায়াবেটিস কিংবা প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ডায়াবেটিস শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ায়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে ভিন্ন ভিন্ন কারণ থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস শনাক্ত না হওয়া, দীর্ঘ সময় শরীরে প্রি-ডায়াবেটিস থাকা, ডায়াবেটিসের বংশগত ইতিহাস ইত্যাদি। তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ
করা যায় সহজে; যেমন ওজন কমানো, জীবনযাপন উন্নত করা, ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ অনেক। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থূলতার হার বেড়ে যাওয়া। এর মূল কারণ নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়া। এতে পেট ভরলেও পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়। ফলে স্থূলতার পাশাপাশি শরীরে চর্বি ও রক্তচাপ বাড়ে। ফলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা তৈরি হয়।
অতিরিক্ত প্যাকেটজাত খাবার খাবার
এসব খাবারের মধ্যে জনপ্রিয় হলো চিপস, চানাচুর ও চকলেটজাতীয় খাবার, জুস, কার্বোনেটেড ড্রিংকস ইত্যাদি। এ ধরনের খাবারগুলোর ক্ষেত্রে চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে। এগুলো ধীরে ধীরে তরুণ-তরুণীদের ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যায়, যা বোঝা যায় না সহজে।
শর্করাজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
ভাত, রুটি, চিড়া বা মুড়ির মতো শর্করাজাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেলে স্থূলতা বাড়ে। ফলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কাও বাড়ে।
শারীরিক শক্তি ক্ষয় না করা
বিশেষত শহর এলাকায় শিশু-কিশোর বা তরুণ-তরুণীরা মাঠের অভাবে খেলাধুলা করতে পারেন না। রাত জেগে মোবাইল চালানো ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি এবং অপর্যাপ্ত ঘুম। ফলে স্থূলতা বাড়ে এবং হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সুস্থ থাকতে যা করতে হবে
ডায়াবেটিসমুক্ত সুস্থ জীবনযাপনের জন্য তরুণ-তরুণীদের স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার খাওয়া এবং হাঁটা, সাঁতার, সাইকেল চালানো বা দৌড়াতে। পাশাপাশি ধূমপান, তামাকজাত পণ্য ও অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো দরকার।
লেখক: পুষ্টিবিদ ,রায়হান হেলথ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর