শারীরিক শক্তি বাড়াবে রসুন ও লেবুর মিশ্রণ

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮: ৪৩

বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে শারীরিক শক্তি এবং স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা বাড়ছে। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য একাধিক পথ্য ও সুপারফুড বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে সঠিক এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে সুস্থ থাকার পথ অনেক বেশি কার্যকরী। রসুন ও লেবু—এই দুটি উপাদান প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বাড়াতে এবং সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

রক্তসঞ্চালন উন্নত করে

রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামের একটি যৌগ, যা রক্তনালিকে শিথিল করে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করতে খুবই সহায়ক। এটি আপনার শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়, যা শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং নাইট্রিক অক্সাইডের সহায়তায় রক্তনালি প্রসারিত হয়, যা আরও উন্নত রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করে।

পুরুষ হরমোন বৃদ্ধি

রসুনে সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক থাকে, যা পুরুষ হরমোন উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন বাড়ায়।

সহনশীলতা বৃদ্ধি

রসুন ও লেবু মাইটোকন্ড্রিয়াল ফাংশন উন্নত করতে সহায়তা করে, যা শরীরের শক্তির উৎস। রসুনের সালফার যৌগ অক্সিজেনের ব্যবহার বাড়িয়ে বিপাকীয় কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, ফলে আপনি দীর্ঘক্ষণ শক্তি ধরে রাখতে পারবেন।

প্রদাহ কমানো

রসুন ও লেবু প্রদাহ কমায়। রসুনের অ্যালিল সিস্টাইন ও ডায়ালাইল ডিসালফাইড যৌগ প্রদাহ কমিয়ে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বজায় রাখে।

রসুন ও লেবুর মিশ্রণ তৈরির পদ্ধতি

উপকরণ

  • রসুনের ৪ কোয়া কুচি করে কাটা
  • দুটি মাঝারি আকৃতির লেবুর খোসাসহ স্লাইস করে কাটা
  • এক গ্লাস কুসুম গরম পানি
  • মধু (ঐচ্ছিক)
  • প্রস্তুত প্রণালি
  • রসুনের ৪ কোয়া কুচি করে কেটে নিন।
  • দুটি মাঝারি সাইজের লেবুকে খোসাসহ স্লাইস করে কাটুন।
  • এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে রসুন ও লেবুর টুকরাগুলো মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন।
  • আপনি চাইলে মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ বাড়ানোর জন্য।
  • সকালে খালি পেটে বা খাবারের আধা ঘণ্টা আগে এই মিশ্রণ পান করুন।

সতর্কতা

অতিরিক্ত রসুন খেলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি, নিশ্বাসে দুর্গন্ধ বা অম্বল হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াতে হবে।

  • রসুন রক্তকে পাতলা করে, আপনি রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেলে এটি ব্যবহার করবেন না।
  • এভাবে আপনি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে নিজেকে শক্তিশালী করতে পারেন। তবে যেকোনো ধরনের পুষ্টি পরিপূরক বা সুস্থতা-সম্পর্কিত পরামর্শ গ্রহণের আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।