যুগ যুগ ধরে মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে চুলের ভূমিকার কথা বলে শেষ করা যাবে না। নারী-পুরুষ উভয়েই সৌন্দর্য রক্ষায় চুলের যত্নে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন। কিন্তু এখন মানুষ বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় যন্ত্রনির্ভর হয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ফলে নারী-পুরুষ সবারই ত্বক ও চুলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বংশগত কারণ ছাড়াও অনেকে এখন অকালেই চুল হারিয়ে ফেলছেন। তাই চুল ঠিক রাখতে নিয়মিত সঠিক যত্ন দরকার।
বর্তমানে চুলের যত্নে অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে। তবে গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশে চুল পড়া বন্ধ করা, চুলের বৃদ্ধি ঘটানো বা চুল পড়ে যাওয়া বা টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য এবং চুল ঘন করতে পিআরপি বা প্লেটিলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা থেরাপি বেশ কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পদ্ধতিতে তিনটি মৌলিক ধাপ রয়েছে।
প্রথম ধাপে শরীর থেকে সামান্য কিছু রক্ত নেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে মেশিনের সাহায্যে রক্তের প্লেটিলেট রিচ প্লাজমা আলাদা করা হয়। তৃতীয় বা শেষ ধাপে প্লাজমা মাথার চামড়ায় সূক্ষ্ম সিরিঞ্জের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
সহজ কথায় পিআরপি
পিআরপি থেরাপির পরের পরিবর্তন
পিআরপি থেরাপি কারা দিতে পারবেন
যাদের দীর্ঘমেয়াদি কোনো চর্মরোগ নেই।পিআরপি থেরাপি একটি নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ পদ্ধতি। ফলাফলের হার ভালো বলে এটি এখন জনপ্রিয় পদ্ধতিও বটে। পিআরপি থেরাপি নেওয়ার পর হয়তো ত্বকে ব্যথা বা লাল গুটির মতো অল্প পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে গুরুতর কিছু নয়।
লেখক: হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন, চিফ কনসালট্যান্ট, কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার, গ্রিনরোড, ফার্মগেট, ঢাকা