আধুনিক জীবনে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন ডিভাইস হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এসব ডিভাইস এমনভাবে মোহগ্রস্ত করেছে যে তা ছাড়ার কথা ভাবা যায় না। এ দুটি ডিভাইস ব্যবহারের কারণে অনেক শারীরিক সমস্যা হয়। সেগুলোর মধ্যে ঘাড়ের সমস্যা অন্যতম। সাধারণত দীর্ঘ সময় ঘাড় নিচু করে ডিভাইস চালানো হয়। এমন চলতে থাকলে মেরুদণ্ডের সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস বা সার্ভিক্যাল অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে। এটি মেরুদণ্ড (ঘাড়) শক্ত করে দেয়।
সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের চিকিৎসা বেশ জটিল। এ জন্য থেরাপি নিতে হয়। ব্যথা কমানোর ওষুধ থেকে শুরু করে শক্ত ঘাড় নরম করতে বিভিন্ন জেল ব্যবহার করতে হয়। যাঁদের এ সমস্যা রয়েছে এবং ধীরে ধীরে ব্যথা বাড়ছে, তাঁরা তিয়েনঝু পয়েন্টে নিয়মিত আকুপ্রেশার করে ব্যথা কমাতে পারেন। সেই সঙ্গে রোগও কমবে।
সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস হওয়ার কয়েকটি কারণ
উপসর্গ
সার্ভিক্যাল মেরুদণ্ডের ওপরে থাকে। এখান থেকে শুরু হয় মাথা। এটি শরীরের ভর নিয়ন্ত্রণ করে। এটিকে বলা হয় তিয়েনঝু পয়েন্ট। তিয়েনঝু পয়েন্ট ঘাড়ব্যথার চিকিৎসায় খুবই কার্যকর; বিশেষ করে ওপরের অংশের সমস্যায়।
কীভাবে আকুপ্রেশার দেবেন
ছবিতে ঘাড়ের ওপরের দিকে মাথার খুলির নিচের অংশের দুই পাশে যে পয়েন্ট দেখানো হয়েছে, তা তিয়েনঝু পয়েন্ট। এসব পয়েন্টে দুই আঙুল দিয়ে ধীরে ধীরে চাপ দিন। চাপ খুব বেশি নয়, আবার হালকাও নয়। দিনে দুবার ৫ মিনিট করে আকুপ্রেশার দিলে ভালো ফল মিলবে। এতে শক্ত ঘাড় নরম হতে থাকবে। সপ্তাহে ৬ দিন আকুপ্রেশার করতে হবে।
তিয়েনঝু পয়েন্টের আরও কাজ
নিয়মিত এই পয়েন্টে আকুপ্রেশার দিলে যেসব উপকার পাবেন, সেগুলো হলো—
পরামর্শ: তিয়েনঝু পয়েন্টে বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে আকুপ্রেশার দিতে হবে। কোনো টুলস বা ডিভাইস ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র