উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়লেও প্রান্তিক পর্যায়ে ওষুধ সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩: ৫৫

দেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের উচ্চতর ঝুঁকিতে রয়েছেন। কিন্তু দেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সংকট রয়েছে। 

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে আয়োজিত এক কর্মশালায় এই চিত্র তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় ওষুধ নিশ্চিতের পাশাপাশি এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এক গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপের পরীক্ষা ও ওষুধের পেছনে এক টাকা ব্যয় করলে সামগ্রিকভাবে ১৮ টাকার সুফল পাওয়া সম্ভব। 

জানা গেছে, ২০২৩ সালের মে মাসে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের জন্য এমলোডিপিন ৫ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট অন্তর্ভুক্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ইতিমধ্যে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনা মূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রোগীর তুলনায় ওষুধের সরবরাহ কম থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে অনেকের। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত অনেক রোগীকেই কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে ওষুধ ছাড়াই ফিরছেন। সব কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উপকৃত হবেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওষুধ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ওষুধ সরবরাহ করতে টেকসই অর্থায়ন জরুরি। 

রাজধানীর বিএমএ ভবনে  ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব মতামত তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। 

কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের সংকট নেই। তবে উপজেলায় সংকট রয়েছে। দেশের শহরাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক নেই। এ কারণে অনেকেই বিনা মূল্যে ওষুধ পাচ্ছেন না। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক শহরাঞ্চলের মানুষের জন্য বিনা মূল্যে ওষুধের ব্যবস্থার একটি প্রস্তাবনা করেছিলেন। সেটি বাস্তবায়ন হলে শহরের লোকজনও কমিউনিটি ক্লিনিকের ন্যায় বিনা মূল্যে ওষুধ পাবেন।

চীনে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ উপসর্গ করোনার মতোই

সুস্থ থাকতে ৮ বদল আনুন জীবনে

চারু ও কারুশিল্প মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক

চোখে মাংস বেড়ে গেলে