হোম > স্বাস্থ্য

৫২ বছরেও চিকিৎসা ব্যয়ে রাষ্ট্রের অবদান নগণ্য

রাশেদ রাব্বি, ঢাকা

স্বাধীনতার পর ৫২ বছরে দেশে অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও নিশ্চিত হয়নি সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা। দেশের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা পেতে ৬৯ শতাংশ অর্থ পকেট থেকেই ব্যয় করতে হয়। যদিও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভীষ্ট সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জন। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে তা অর্জন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার যে পরিকল্পনায় ও গতিতে এগোচ্ছে তাতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশেও আজ ৭ মার্চ পালিত হচ্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’। সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চত করতে হলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে ২০১২ সালে কৌশলপত্র প্রণয়ন করে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বাস্থ্যের জন্য আরও সম্পদ তৈরি বা সংগ্রহ; স্বাস্থ্যখাতে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা এবং সম্পদ বরাদ্দ ও ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে ২০১২ সালে যে কৌশলপত্র প্রণয়ন করে, তাতে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলা যুক্ত করা হয়। এতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) নামে একটি দিশারী প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা ছিল। দিশারী প্রকল্প শুরু করতে চার বছর সময় নেয় মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ঘাটাইল ও মধুপুর উপজেলায় এসএসকে বাস্তবায়নে পাইলট প্রকল্প শুরু হয়। এসব উপজেলার দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে প্রতিটি পরিবারকে একটি করে হেলথ কার্ড দেওয়া হয়। কার্ডধারী পরিবারগুলোর সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে ৭৮টি রোগের সেবা বিনা মূল্যে পাচ্ছে। সেবা দেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। প্রকল্পের অর্থে রোগনির্ণয়, ওষুধ, পথ্যসহ চিকিৎসার ব্যয় বহন করার কথা। রোগীকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করার প্রয়োজন হলে যাতায়াত খরচসহ চিকিৎসা-ব্যয়ও প্রকল্প থেকে দেওয়ার কথা। একটি কার্ডে বছরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সেবার প্রাপ্যতা রয়েছে। পাইলটিং শুরু হয়েছিল এক বছরের জন্য। তবে সাত বছর পেরিয়ে গলেও তা শেষ হয়নি, কবে শেষ হবে সেটিও অজানা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৭৮টি রোগের সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জুনিয়র কনসালটেন্টও পাওয়া যায় না।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলনে, পাইলটিং যখন শুরু হয় তখন ৫০টি রোগের চিকৎসার কথা ছিল। কিন্তু পর্যায়ক্রমে ১১০টি রোগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসক সঙ্কটে কিছু জটিলতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ননফরমাল সেক্টরের পাশাপাশি ফরমাল সেক্টরেও একটি পাইলটিং চালু করতে যাচ্ছি। সাধারণ বীমা করপোরেশন সেটির দায়িত্বে রয়েছে।’ ২০৩০ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান; কিন্তু সেবা ক্রয়ের জন্য একটি কর্তৃপক্ষ দরকার। আমরা এ নিয়ে একটি গবেষণা করছি, সেটি সম্পন্ন হলে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তরপর সরকার করণীয় নির্ধারণ করবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনিস্টিটউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ মনে করেন, সরকার যে গতিতে কাজ করছে তাতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘এসডিজি সূচকে আমাদের অগ্রগতি মাত্র ৫১ শতাংশ। এটাকে ৭০-৭৫ শতাংশে উন্নিত করতে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিতে হবে। প্রাথিমক স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।’

ব্যথার ওষুধের বিকল্প ভাবা হয় লবঙ্গকে

গর্ভাবস্থায় মেথি খাওয়া যায়

কাঁধ নাড়াচাড়া করতে না পারলে

শীতকালে পানিশূন্যতায় স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং প্রতিকার

চোখের সমস্যা থেকে মাথাব্যথা হতে পারে

নিয়মিত চা পানকারীরা কেন দীর্ঘায়ু হন, জানালেন বিজ্ঞানীরা

এইচএমপিভিতে মহামারির আশঙ্কা কম, অভিমত বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের

দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত একমাত্র রোগীর মৃত্যু

এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

দেশে এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত, আক্রান্ত একজন নারী

সেকশন