ভাইবোনের বয়স কাছাকাছি হলে তাদের মধ্যে ভালোবাসা, অন্তরঙ্গতা যেমন বেশি হয়, ঠিক তেমনি ঝগড়া, কথা-কাটাকাটি, মারামারিও কম হয় না। পিঠাপিঠি ভাইবোনের সম্পর্কে টানাপোড়েন অনেক সময় দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পরপরই শুরু হয়। সেটা পুরো শৈশব-কৈশোরজুড়েই চলতে থাকে। এ বিষয়টি মা-বাবার জন্য মধুর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
- প্রথমত পক্ষপাতিত্ব করা থেকে বিরত থাকুন। দুজনের প্রতি সমান ভালোবাসা প্রকাশ করুন।
- কোনো কিছু কিনলে দুজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। তা না হলে একজনের মনে অন্য জনের প্রতি ক্ষোভ জমতে পারে।
- এক সন্তানের সঙ্গে অন্য সন্তানের তুলনা করবেন না। প্রতিটি শিশুর স্বকীয়তা, প্রতিভা ও মেধার মূল্য দিন। কারও সাফল্য ছোট করে দেখবেন না।
কাছাকাছি বয়সী ভাইবোনদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিরুৎসাহিত করুন। বরং একে অপরকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে তা দেখিয়ে দিন।
- একজন সন্তান কীভাবে অন্য সন্তানের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে খেলবে তা দেখিয়ে দিন। খেলনা ভাগাভাগি করা শেখান।
- ভাইবোন ছাড়া অন্যান্য বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও শিশুদের মিশতে দিন। এতে শিশু নিজেকে চিনতে ও বুঝতে পারে যা ভাইবোনের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর জন্য প্রয়োজন।
- পরিবারের সবাই একসঙ্গে আনন্দময় সময় কাটান। পরিবারের সঙ্গে কাটানো মধুর স্মৃতি, নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মেটাতে পিঠাপিঠি ভাইবোনকে সাহায্য করবে।
শিশুদের আবেগের তীব্রতা বেশি থাকে। এ জন্য তাদের একে-অপরের প্রতি মান-অভিমানের প্রকাশও বেশি হয়। তাই ছোট থেকেই পিঠাপিঠি ভাইবোনের সম্পর্ক দেখভাল ও যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগ বিভাগ, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল