বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ‘লং কোভিড’ নিয়ে বড় গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার ফলে মানুষের শরীরে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে সেটিও গবেষণায় যুক্ত করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই তাগিদ দেন।
সভায় ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজেজ অ্যান্ড ইউরোলজির নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাসুদ ইকবাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. দীপল কৃষ্ণ অধিকারী, কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রানা মোকাররম হোসেন, অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ানসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করার নির্দেশনা দেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের অংশ হিসেবে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। যেমন স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, খিটখিটে মেজাজ ও রুক্ষ আচরণ করা, বিভিন্ন ধরনের নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, হৃদরোগ, কিডনি ফেইলিউর ইত্যাদি।
তাই গবেষণায় এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। অন্যথায় মাানুষ শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।