ডা. সৈয়দা ফাতেহা নূর
ত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়। ফলে শীতকালে ত্বক ফেটে যাওয়া, খুশকি বেড়ে যাওয়া, ঠোঁট ও পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া, হাত শুকিয়ে চামড়া ফেটে যাওয়া, চুলকানি, একজিমা, সোরিয়াসিসসহ বিভিন্ন চর্ম ও চুলের রোগ দেখা দেয়।
তবে এই ঠান্ডা আবহাওয়া গ্রীষ্মকালীন ত্বকের স্বস্তি ছিনিয়ে নিলেও প্রাকৃতিক নিয়মে ত্বকের আর্দ্রতা কিছুটা বজায় থাকে। তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই। এ সময় ত্বকের সমস্যা কেন হয়, তা জেনে নিয়মমাফিক কিছু পরামর্শ মেনে চললে ত্বকের রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।
শীতকালে আর্দ্রতা কম থাকে, ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রাকৃতিক স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ কারণে বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা যায়। এ সময় সূর্যের আলো কম পাওয়া যায় এবং অপর্যাপ্ত হাইড্রেশন শুষ্কতা বাড়িয়ে দেয়। এতে ত্বক স্বাভাবিক থাকে না।
ত্বকের সুস্থতায় যা করবেন
শরীর ও ত্বকে পানির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান এবং ফ্লুইডজাতীয় খাবার খেতে হবে। সম্ভব হলে বাড়িতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে হবে।
গোড়ালি সুরক্ষিত রাখতে
পায়ের গোড়ালি ফাটা শীতকালের সাধারণ সমস্যা। এটি হয় শুষ্ক ত্বকের কারণে। শীতে এ থেকে রক্তক্ষরণ ও সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে
হাত ধোয়াজনিত শুষ্কতা এড়াতে
শীতকালীন ঠান্ডা আবহাওয়ায় ফ্লুর জীবাণু বেশি বাড়ে। এ থেকে মুক্ত থাকতে ঘন ঘন হাত ধুতে হয়। হাত ধোয়া শুষ্কতা বাড়ায়। এই শীতে হাত-পা ধোয়ার পর সব সময় গ্লিসারিনভিত্তিক ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তাতে হাত-পা ধোয়াজনিত শুষ্কতা থেকে মুক্ত থাকবে।
সুস্থ ও স্বাস্থ্যসম্মত ত্বকের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যেমন দরকার, তেমনি জরুরি পর্যাপ্ত তরল পান করা। পাশাপাশি তৈলাক্ত খাবার, ধূমপান, মদ্যপানসহ ক্ষতিকর মেলামেশা বর্জন করতে হবে।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশেষজ্ঞ, লেজার হাব
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (চর্ম ও যৌন) ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল