দেশে ক্রমাগত করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে রাজধানীসহ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এটি ফের ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এমতাবস্থায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটিকে রেড জোন বা উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের মাত্রা শূন্য থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত কম ঝুঁকিপূর্ণ। ৫ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১০ থেকে ১৯ শতাংশ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। সে অনুযায়ী রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর, নাটোর ও লালমনিরহাট এই মুহূর্তে মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে।
অন্যদিকে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা বরাবরই সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের জেলা রাঙামাটি। এ দুই জেলায় সংক্রমণের মাত্রা ১০ থেকে ১৯ শতাংশের ঘরে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২ হাজার ৪৫৮ জনের করোনা শনাক্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই ১ হাজার ৯২০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে প্রাণ গেছে দুইজনের। ফলে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১০৭ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
এদিকে এত দিন ভারতীয় ধরন ডেলটার প্রকোপ বেশি থাকলেও নতুন শঙ্কার নাম ওমিক্রন। বিশ্বের অন্তত ১৩০টি দেশে ছড়িয়েছে ধরনটি, যার শিকার বাংলাদেশও। এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের শিকার ৩০ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে সরকার। এমতাবস্থায় আগামীকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ পালনের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীসহ বন্ধ থাকবে সভা-সমাবেশ।