হোম > স্বাস্থ্য

প্রোস্টেট সমস্যার প্রতিকার পেঁয়াজে

আলমগীর আলম

ছবি: সংগৃহীত

বয়স বাড়ার সঙ্গে জীবনের সঙ্গী হয় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা। পুরুষের প্রোস্টেট সমস্যা তেমনই একটি। এ সমস্যার রয়েছে প্রাকৃতিক সমাধান।

আমাদের প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ পেঁয়াজ। প্রোস্টেট সমস্যার সমাধানে এটি সাহায্য করতে পারে।

প্রোস্টেট সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর সাধারণ কারণগুলো হলো—

বয়স বাড়া: বয়স বাড়ার সঙ্গে প্রোস্টেটগ্রন্থি স্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে, যাকে বলা হয় প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়া। এই বৃদ্ধি মূত্রনালিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং প্রস্রাবের সমস্যা তৈরি করে।

সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ প্রোস্টেটে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যাকে প্রোস্টাটাইটিস বলা হয়।

প্রোস্টেট ক্যানসার: প্রোস্টেটের কোষগুলো অস্বাভাবিক বাড়লে প্রোস্টেট ক্যানসার হতে পারে।

জীবনযাত্রার কারণ: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এবং শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে প্রোস্টেট সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

অন্যান্য কারণ: কিছু ওষুধ, স্নায়বিক সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যাও প্রোস্টেট সমস্যার কারণ হতে পারে।

সাধারণ লক্ষণ

  • ঘন ঘন প্রস্রাব করা।
  • রাতে প্রস্রাব করার জন্য বারবার ওঠা।
  • প্রস্রাব করতে সময় লাগা।
  • প্রস্রাবের ধারা দুর্বল হওয়া।
  • প্রস্রাব করার পরও মূত্রাশয় পুরোপুরি খালি না হওয়ার অনুভূতি।
  • প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া।
  • প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
  • পিঠ বা কোমরে ব্যথা।
  • যৌন সমস্যা।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে পেঁয়াজের সুনাম রয়েছে। এতে কোর্সেটিন থাকে। এ উপাদান শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড হিসেবে পরিচিত, যা প্রদাহ কমাতে এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। পেঁয়াজের এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মূত্রনালি ও প্রোস্টেটের শক্তি বাড়ায়। ফলে এটি পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার পথ্য হিসেবে কাজ করে।

পেঁয়াজের টনিক বানানো যায় খুব সহজে।

উপকরণ

একটি মাঝারি আকারের দেশি পেঁয়াজ এবং ১ লিটার পানি।

যেভাবে বানাবেন

পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে বড় টুকরা করে নিন। কাটা পেঁয়াজ পানিতে হালকা আঁচে জ্বাল দিন। তারপর তাপ কমিয়ে ১০ মিনিটের জন্য সেদ্ধ হতে দিন, যাতে পেঁয়াজের পুষ্টি পানিতে মিশতে পারে। সেদ্ধ করার পর ছেঁকে পানি আলাদা করে পানযোগ্য তাপমাত্রায় ঠান্ডা হতে দিন।

সেবনের নিয়ম শোষণ ও কার্যকারিতা সর্বাধিক মাত্রায়

রাখার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন। ১ লিটার পানি থেকে প্রতিদিন এক কাপ পান করবেন, বাকি পানি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফ্রিজে রেখে দিন। পানি পান করার সময় একটু গরম করে নিন।

নিয়মিত এই পানি পানের ফলে মূত্রাশয় ও প্রোস্টেট ভালো থাকবে। এটি মূত্রাশয়ের ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

যাঁরা নিয়মিত ইউরোম্যাক্সজাতীয় ওষুধ সেবন করেন, তাঁরা পেঁয়াজের এই পানি খাওয়ার পরও কয়েক দিন সেসব ওষুধ খাবেন। তারপর ধীরে ধীরে ছাড়তে পারেন কি না, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

মনে রাখা জরুরি, সবার শারীরিক অবস্থা এক রকম নয়। প্রাকৃতিক নিয়মগুলো শরীরে সহনীয় হতে সময় নিতে পারে। শরীরকে সে সময় দিতে হবে।

লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: নবজাতককে বাড়িতে রেখে চিকিৎসায় সুবিধা বেশি

দুঃসহ স্মৃতি ভুলে যাওয়ার কৌশল আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

ব্যথার ওষুধের বিকল্প ভাবা হয় লবঙ্গকে

গর্ভাবস্থায় মেথি খাওয়া যায়

কাঁধ নাড়াচাড়া করতে না পারলে

শীতকালে পানিশূন্যতায় স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং প্রতিকার

চোখের সমস্যা থেকে মাথাব্যথা হতে পারে

নিয়মিত চা পানকারীরা কেন দীর্ঘায়ু হন, জানালেন বিজ্ঞানীরা

এইচএমপিভিতে মহামারির আশঙ্কা কম, অভিমত বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের

দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত একমাত্র রোগীর মৃত্যু

সেকশন