মইনুল হাসান, ফ্রান্স
জাতিসংঘ ২০২৪ সালকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আন্তর্জাতিক উট বর্ষ’ ঘোষণা করেছে। উট মরুভূমির এক বিস্ময়কর প্রাণী। চরম আবহাওয়া ও শুষ্ক পরিবেশে বেশ মানিয়ে চলতে পারে বলে মরুর দেশগুলোতে এদের কদর সুপ্রাচীনকাল থেকে। এবার মানুষের দৃষ্টি পড়েছে উটের দুধের প্রতি। দিন দিনই জনপ্রিয়তার রেকর্ড ভাঙছে উটের দুধ। উটের দুধের প্রতি মানুষের আগ্রহের কারণ একটি নয়, অনেক।
এসব ছাড়া, বিশেষ করে হৃদ্যন্ত্র চালু রাখার জন্য আরও বহু পুষ্টি উপাদান রয়েছে উটের দুধে।বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে খাদ্য ও পানির অভাব প্রকট হয়ে উঠছে। ইউরোপেও উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুষ্টিগুণ, চাহিদা এবং জলবায়ু বিবেচনায় পশ্চিমের দেশগুলোর খামারিরা উটের দুধ উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন, গড়ে তুলছেন উটের বাণিজ্যিক দুগ্ধ খামার। তবে বিশ্বের বড় খামারটি আছে দুবাইয়ে।
এখানে ক্যামেলিসিয়াস ডেইরি ফার্মে আছে প্রায় ৬ হাজার উট। এই মেগা খামারে প্রতিবছর ৪০ লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। ভিটামিন, খনিজ লবণ, ক্যালসিয়াম ও আমিষের উৎস দুধ মানুষের খুব পছন্দের খাবার। স্বাদে, ঘ্রাণে ও পুষ্টিগুণে দুধের বিকল্প খাবার খুব কমই আছে।