হোম > স্বাস্থ্য

কোম্পানি দেউলিয়া, দেড় কোটি মানুষের ডিএনএ ডেটার এখন কী হবে

অনলাইন ডেস্ক

টোয়েন্টি থ্রি অ্যান্ড মি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যম মানুষের ডিএনএ বা জিন পরীক্ষা করে থাকে। ছবি: এএফপি

টোয়েন্টি থ্রি অ্যান্ড মি জিন পরীক্ষার জনপ্রিয় মার্কিন প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যম মানুষের ডিএনএ বা জিন পরীক্ষা করে। সেই তথ্য গ্রাহককে সরবরাহ করার পাশাপাশি কাছে সংগ্রহ করে রাখে। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। এখন নিলামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এই ঘোষণার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারী তাদের জিনগত তথ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জিনগত তথ্য থেকে একজন মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি, খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বৈশিষ্ট্যও বোঝা সম্ভব। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গিডিয়ন নেভ বলেন, ‘জিনগত তথ্য আপনার শপিং কার্টের চেয়েও বেশি বলতে পারে। আপনি হয়তো অন্য কারও জন্য কিছু কিনেছেন, কিন্তু আপনার জিনগত তথ্য শুধু আপনাকেই প্রতিফলিত করে।’

উদাহরণস্বরূপ, জেনেটিকসের সঙ্গে খাবারের নির্দিষ্ট স্বাদের পছন্দের সম্পর্ক থাকতে পারে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং হিউম্যান টেকনোপোল, মিলানের গবেষকেরা দেখেছেন, শত শত জেনেটিক ভেরিয়েন্ট নির্দিষ্ট খাবারের পছন্দের সঙ্গে যুক্ত।

টোয়েন্টি থ্রি অ্যান্ড তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, দেউলিয়া ঘোষণা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের ডেটা প্রাইভেসি পলিসিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে ক্যালিফোর্নিয়া ও ইলিনয় অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ব্যবহারকারীদের তাদের জিনগত তথ্য ডিলিট করার পরামর্শ দিয়েছেন।

কারণ এই তথ্য ব্যবহার করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, সিলিয়াক ডিজিজের মতো রোগের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বসন্ত ধর বলেন, ‘চিকিৎসকেরা অনেক সময় লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় করেন। আপনার জিনগত তথ্য এই প্রক্রিয়াকে আরও নিখুঁত করতে পারে।’

এই জিনগত তথ্য শুধু একজন ব্যক্তিরই নয়, তার পরিবারের সদস্যদেরও গোপনীয়তা প্রকাশ করে। যদিও আমেরিকায় জেনেটিক ইনফরমেশন নন ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট স্বাস্থ্যবিমা ও চাকরিতে জিনগত বৈষম্য নিষিদ্ধ করেছে, তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে এর সুরক্ষা সীমিত।

সেন্টার ফর জেনেটিকস অ্যান্ড সোসাইটির সহযোগী পরিচালক কেটি হাসান বলেন, ‘জেনেটিক ডেটা স্থায়ী এবং অনন্য। এটি বহু বছর পর জন্ম নেবে এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কেও তথ্য প্রকাশ করতে পারে। তাই এই তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও টোয়েন্টি থ্রি অ্যান্ড জানিয়েছে, তারা এসব তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করবে এবং তাদের পরবর্তী ক্রেতাকেও গ্রাহকের ডেটা-সংক্রান্ত আইন মেনে চলতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, জিনগত তথ্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার কোনো তারিখ নেই। আজ না হলেও ভবিষ্যতে এর অপব্যবহার হতে পারে।

আপনার শিশু কি লম্বা হচ্ছে না

গরমের ৫ রোগের সমাধান

স্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক শব্দদূষণ

এ সময়ের পুষ্টি ভাবনা

গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে

মিটফোর্ডের ক্যানসার বিভাগ যেন নামসর্বস্ব

দেশে প্রতিবছর ৫ বছর বয়সের আগেই মারা যায় লক্ষাধিক শিশু: প্রতিবেদন

হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

ডায়াবেটিস রোগীদের চোখের যত্নে করণীয়

ঈদে হৃদ্‌রোগীর খাবার কেমন হবে