অপূর্ণ অবস্থায় ভ্রূণ বের হলে তাকে গর্ভপাত বলা হয়। গর্ভধারণের প্রথম, তৃতীয় বা পঞ্চম মাসে গর্ভপাত হওয়া সন্তান জন্ম দিতে না পারার একটি বড় কারণ। বিভিন্ন কারণে অকালে গর্ভপাতের ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে চলেছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা একজন নারীর জীবনে এক বা একাধিকবার ঘটতে পারে। অনেকের আবার একাধিকবার গর্ভপাতের পরে গর্ভধারণ হয় না বা বিলম্বিত হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যার কারণে অনেক দম্পতি সন্তানের পিতা-মাতা হতে পারছেন না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এর সহজ সমাধান থাকলেও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অনেকেই এর সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
গর্ভপাতের কারণ
গর্ভপাতের চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় গর্ভপাত বন্ধ হয়। রোগী দম্পতি এবং তাদের পিতা-মাতার জেনেটিক রোগের ইতিহাস ও বর্তমান রোগব্যাধি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করে নির্বাচিত ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে গর্ভপাত ঠেকানো সম্ভব। গর্ভপাতের চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে স্যাবাইনা, সিপিয়া, এপিস-মেল, সিফিলিনাম, মেডোরিনাম, একোনাইট, কেমোমিলা, আর্ণিকা-মন্টেনা, থুজা, পালসেটিলা, টিউবারকুলিনামের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। এ ওষুধগুলোর সঠিক ব্যবহারে একেকটি দম্পতির জীবনই পাল্টে যেতে পারে। এ চিকিৎসা পদ্ধতি শুধু রোগ আরোগ্যই করে তা নয়, সঙ্গে এ রোগের অন্তর্নিহিত কারণও দূর করে। এ কারণে নিঃসন্তান দম্পতিগণ গর্ভপাতের চিকিৎসার জন্য অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারেন।
লেখক: পিএইচডি (স্বাস্থ্য)
চেম্বার: ড. হক হোমিও ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, বিটিআই সেন্ট্রাল গ্রান্ড, গ্রাউন্ড ফ্লোর (জি-৪), ১৪৪ গ্রিন রোড, ফার্মগেট, ঢাকা