প্যাকেটজাত খাদ্য ও পানীয়ের গায়ে পুষ্টি উপাদানসংক্রান্ত তথ্য সহজ করে ও প্যাকেটের সামনের অংশে লেখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই সঙ্গে সতর্কতামূলক যেসব বার্তা এসব প্যাকেটের গায়ে দেওয়া থাকে সেগুলোকেও আরও বড় করে প্রদর্শন করার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছ ডব্লিউএইচও-এর তরফ থেকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রথম এ ধরনের নির্দেশনা দিল। এরই মধ্যে এই বিষয়ক একটি খসড়া প্রস্তাবও সাজানো হয়েছে। মূলত, প্যাকেটজাত খাবারের মোড়কে পুষ্টি উপাদান ও অন্যান্য তথ্য সেই অর্থে বড় করে না দেওয়ার কারণে ভোক্তারা এ ক্ষেত্রে খুব একটা মনোযোগী হন না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, লবণ, চিনি এবং চর্বিজাতীয় খাবারের কারণে বিশ্বজুড়ে স্থূলকায় মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্বে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ আছেন যারা এ ধরনের স্থূলতায় ভুগছে। এ ছাড়া, প্রতিবছর হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিকের মতো রোগের কারণে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে।
তারপরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এ ধরনের পরিস্থিতি কেন তৈরি হয় সে বিষয়ে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪৩টি সদস্য দেশে খাদ্যের পুষ্টি উপাদান ও অন্যান্য তথ্য মোড়ক বা প্যাকেটের সামনের অংশ রাখা বাধ্যতামূলক করেছে। যদিও গবেষণা বলছে, পণ্যের মোড়কে দেওয়া পুষ্টি ও অন্যান্য তথ্য ভোক্তার মানসিকতা পরিবর্তন করতে যথেষ্ট অবদান রাখে।
ডব্লিউএইচও ২০১৯ সালে এই খসড়া নির্দেশিকাগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে। তাদের লক্ষ্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য-সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোক্তাদের সহায়তা করা। এরই মধ্যে এই খসড়া পরামর্শের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এই খসড়ায় সবার মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই খসড়া চূড়ান্ত নীতিমালা আকারে ২০২৫ সালে প্রকাশ করা হবে।