অনলাইন ডেস্ক
আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যেতে গিয়ে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারালেন আরও ১৬ জন। উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়া এবং পশ্চিম সাহারার ভূমধ্যসাগরের উপকূলে গত রোববার এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আফ্রিকার দেশ থেকে অবৈধভাবে নৌপথে ইউরোপে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তিউনিসিয়া অন্যতম রুট হয়ে উঠেছে। বিপৎসংকুল এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য প্রাণহানি ঘটছে। তবু থেমে নেই ভয়ংকর সমুদ্রযাত্রা। ভাগ্যান্বেষণের জন্য প্রতিবছর এই রুট ব্যবহার করছে অনেক আফ্রিকান।
তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স শহরের উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাটি ডুবে গেছে। স্ফ্যাক্স বিচার বিভাগের মুখপাত্র ফৌজি মাসমুদি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকার ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
ফৌজি মাসমুদি জানান, নৌকাটিতে অন্তত ৫৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ এবং তাঁদের উদ্ধার করতে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, সপ্তাহখানেক আগে স্ফ্যাক্স শহরের সৈকত থেকে তাঁরা নৌকাযোগে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। নৌকাটিতে ৫৭ জন যাত্রী ছিল। স্ফ্যাক্স শহর ১৩০ কিলোমিটার দূরের ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপ ছিল তাঁদের গন্তব্য। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছার আগেই তিউনিসিয়া উপকূলেই নৌকাটি ডুবে যায়।
এদিকে মরক্কো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁরা সোমবার পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাঁরা সেনেগালের নাগরিক। পশ্চিম সাহারা উপকূলের ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকা ডুবে এই প্রাণহানি ঘটেছে। ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ১৮৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১১ জনকে পশ্চিম সাহারার ডাকলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।