পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৩৬ জন। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এই বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তানজানিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, জলবায়ু চক্রের এল নিনোর কারণে চলমান বর্ষা মৌসুম ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার সৃষ্টি হয়ে সড়ক, সেতু ও রেলপথ ধ্বংস হয়ে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মাজালিওয়া তানজানিয়ার পার্লামেন্টে বলেন, ‘এল নিনোর কারণ সৃষ্ট প্রবল বৃষ্টি, বাতাস ও ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।’ এল নিনো হলো প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট জলবায়ু প্যাটার্ন, যা সাধারণত বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খরা ও ভারী বৃষ্টিপাতও ডেকে আনে।
তানজানিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে পরিবেশের অবনতির কারণেই এই বিধ্বংসী বৃষ্টি। এ সময় তিনি পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার পেছনে নির্বিচারে বন উজাড়, স্ল্যাশ অ্যান্ড বার্ন নামক সাময়িক কৃষি চাষ পদ্ধতি ও অনিয়ন্ত্রিত গবাদিপশু চারণকে দায়ী করেন।
হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া জানান, এই বন্যা ও ভূমিধসে ২ লাখেরও বেশি মানুষ ও ৫১ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং দেশের জরুরি পরিষেবাব্যবস্থা বন্যার পানিতে ডুবে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করছে।
পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে মাজালিওয়া নিচু অঞ্চলে বসবাসকারীদের উঁচু ভূমিতে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং যাদের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।