অনলাইন ডেস্ক
ইথিওপিয়ার সরকার এবং বিদ্রোহী তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে দুই বছর ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, উভয় পক্ষই স্থায়ীভাবে সংঘাত বন্ধ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার (২ নভেম্বর) ইথিওপিয়া সরকারের কর্মকর্তারা ও তাইগ্রে প্রতিনিধিরা শান্তিচুক্তিতে সই করে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এক সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শেষে চুক্তিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ। আফ্রিকান ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্তকে নতুন ভোরের সূচনা হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ যুগান্তকারী চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তাইগ্রে বিদ্রোহীরাও এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। বিদ্রোহী দলের প্রধান জানান, ‘চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত। আমাদের লোকেদের অমানবিক কষ্ট দূর করতে আমরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। এখন অতীত পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা।’
শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলুসেগুন ওবাসাঞ্জো বলেন, এক সপ্তাহ আলোচনার পর ইথিওপিয়ার সরকার এবং টিপিএলএফ আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে সম্মত হয়েছে সরকার। ওলুসেগুন ওবাসাঞ্জো এই চুক্তিকে শান্তি প্রক্রিয়ার সূচনা বলছেন।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করি, সংঘাতের শিকার লাখ লাখ ইথিওপিয়ান বেসামরিক নাগরিকদের জীবনে এই চুক্তির ফলে শান্তি আসবে।’
২০২০ সালের নভেম্বরে ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলে দেশটির সরকার ও টিপিএলএফের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।