জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবিতে আট বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন ইথিওপীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। ইয়েমেন থেকে লোহিতসাগর পাড়ি দিয়ে ইথিওপিয়াগামী ওই নৌকায় ৭৭ জন আরোহী ছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা।
গতকাল মঙ্গলবার কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ডুবে যেতে দেখে কোস্টগার্ডদের খবর দেয় জেলেরা। উদ্ধারকারীরা অন্তত ২০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও অন্যরা নিখোঁজ রয়েছ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
বেঁচে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জিবুতি থেকে গডোরিয়া শহরে নিয়ে আসার পরও তাদের মধ্যে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট ছিল। সেখানে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম তাদের ইথিওপিয়ায় ফেরত পাঠায়।
জিবুতির কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইসে ইয়াহ বলেন, নিজ দেশের চেয়ে ইয়েমেনের জীবন বড় সংগ্রামের। তাই ডুবে যাওয়া নৌকায় থাকা মানুষ ইয়েমেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বেরহানু সেগেই টুইটারে নিহতদের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধ যাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং আমরা ক্রমাগত আমাদের নাগরিকদের জীবন হারাচ্ছি।’
স্থলবেষ্টিত ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পালিয়ে আসা লোকজন প্রায়ই উন্নত জীবনের সন্ধানে জিবুতি ও ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এবং এরও বাইরে পাড়ি জমায়। কেউ কেউ যুদ্ধের কবলে থাকা ইয়েমেনেই আটকা পড়ে।
একই জলসীমায় আরেকটি নৌকাডুবিতে অন্তত ৩৮ জন ইথিওপীয় নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত এক দশকে একই এলাকায় প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত বা নিখোঁজের রেকর্ড করা হয়েছে।