অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জর্জে একটি ভবন ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯-এ পৌঁছেছে। ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১১৬ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার এক ব্যক্তিকে জীবিত অবস্থায় বের করে আনা হয় বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলে বর্ণনা করেছে কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
শহরটির পৌর কর্তৃপক্ষ আজ রোববার জানিয়েছে, ভবনটি ভেঙে পড়ার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৩ জন।
গত সোমবার বিকেলে জর্জের নির্মাণাধীন একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারকারী দলগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। ঘটনাস্থলে কাজ করছে প্রায় ৮০ জন উদ্ধারকর্মী। এখন পর্যন্ত ২৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী ভেকি সেল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এসএবিসিকে বলেন, ‘উদ্ধার এবং জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের প্রশ্নটি এখনো অনেক কিছুর সঙ্গেই জড়িত। কারণ, গতকাল যা ঘটল (জীবিত অবস্থায় উদ্ধার) তারপর উদ্ধারকারীরা স্বাভাবিকভাবেই ভাবছে যে, তাদের খুবই ধীরে পা ফেলতে হবে।’
সোমবার থেকেই ভবনে অবস্থান করা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা কাছেই একটি সিটি হলে অবস্থান করছেন। লাশ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার গতিতে পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের প্রাদেশিক প্রধান অ্যালান উইন্ড শনাক্তকরণ সম্পর্কে এর আগে বলেছিলেন যে, প্রক্রিয়াটি কঠিন ছিল। পুলিশ এই কাজে আঙুলের ছাপ, ডিএনএ পরীক্ষা এবং ছবি ব্যবহার করছে।
দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই বিদেশি নাগরিক কিনা, সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে প্রথমে অস্বীকার করেছিল কর্তৃপক্ষ।
তবে সরকার বলেছে যে, তারা এই ঘটনার বিষয়ে মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে এবং মালাউইয়ের কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। সে সঙ্গে চেওয়া, পর্তুগিজ এবং শোনা ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের প্রতি বেঁচে যাওয়া এবং তাদের পরিবারকে মানসিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
ধসে পড়া ৪২ ইউনিটের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকটির নির্মাণ পরিকল্পনা গত জুলাই মাসে অনুমোদিত হয়েছিল।
ভবন ধসের কারণ এখনো জানা যায়নি।