অনলাইন ডেস্ক
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে শুক্রবার ভোরে বিদ্রোহী দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এতে এক শিশুসহ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা শিগগিরই থামছে না বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে জানিয়েছ, ত্রিপোলির শহরতলি আসবায় অবস্থিত রেডিসন ব্লু হোটেলের নিকটবর্তী এলাকায় এই গোলাগুলি হয়। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে অনেকক্ষণ গোলাগুলি হয়। শহরের জাবিয়াত দাহমানি এলাকায় অনেকগুলো সাঁজোয়া যান টহল দিতে দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ত্রিপোলির আসবা ও আইন যারা এলাকায় এই গোলাগুলি হয়। ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী অধিবাসীরা জানিয়েছেন, এই গোলাগুলিতে এক শিশু ছাড়াও আরও একজন নিহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লিবিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করেন বিভিন্ন সমর নেতারা। তেলসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করেন খলিফা হাফতার। রাজধানী ত্রিপোলিতে অনেকের প্রভাব থাকলেও ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ আল-দ্বিবাহ সবচেয়ে শক্তিশালী। গত বছর জাতিসংঘের নেতৃত্বে ত্রিপোলিতে একটি জাতীয় সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে আল-দ্বিবাহকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হয়। কিন্তু হাফতার তা প্রত্যাখ্যান করে ফাথি বাশাঘাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। এরপর থেকে ত্রিপোলিতেই ঢুকতে পারছিলেন না দ্বিবাহ।
সম্প্রতি পক্ষগুলো একটা সমঝোতার চেষ্টা করছিল। এমন সময় হাফতার কয়েকটি খনি থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেন। ফলে দ্বিবাহের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকার অর্থসংকটে পড়ে। কিন্তু গত সপ্তাহে দ্বিবাহ নতুন করে হাফতারের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে দেশটির তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে এতেও সংকট কাটেনি। একই সময়ে বাশাঘা পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মিসরাতা শহর সফর করেন। এটি দ্বিবাহের জন্মশহর হলেও সেখানে বাশাঘাই বেশি জনপ্রিয়। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিবাহ ও বাশাঘার সশস্ত্র বাহিনীই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।