অনলাইন ডেস্ক
দুর্ধর্ষ সিরিয়াল কিলার সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কেনিয়ার পুলিশ। একটি আবর্জনা ফেলার স্থানে অন্তত ৯ জন নারীর খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ আবিষ্কারের পর কলিন্স জোমাইসি খালিসিয়া নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক খালিসিয়া ইতিমধ্যে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এবং ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নারীকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
কেবিসি নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ৩৩ বছর বয়সী খালিসিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শিকারে পরিণত হওয়া নারীদের মধ্যে তাঁর স্ত্রীও রয়েছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেন বনাম ইংল্যান্ডের ইউরো ফুটবলের ফাইনাল দেখার সময় খালিসিয়াকে সোমবার ভোরে কেনিয়ার একটি বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, খালিসিয়াকে প্রথমবারের মতো সন্দেহের আওতায় আনা হয় আবর্জনা ফেলার ডাম্প হিসেবে ব্যবহৃত একটি কোয়ারিতে ৯ জন নারীর টুকরো টুকরো করা মরদেহ আবিষ্কারের পর। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পাওয়া বিকৃত ওই মৃতদেহগুলো সারা দেশে শোকের ঢেউ তুলেছে। অনেকেই এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
স্বীকারোক্তিতে খালিসিয়া জানিয়েছেন, স্ত্রীকে হত্যার মধ্য দিয়েই একের পর এক নারীকে হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল তাঁর। হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করার আগে স্ত্রীকে তিনি শ্বাসরোধে হত্যা করেছিলেন। পরবর্তী সময় বেশির ভাগ শিকারকেই তিনি একই উপায়ে হত্যা করেছেন। হত্যার আগে মূলত প্রলুব্ধ করে তিনি নারীদের নিজের আওতায় নিয়ে আসেতন।
কেবিসি নিউজের উদ্ধৃতি অনুসারে কেনিয়ার অপরাধ তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ আমিন জানিয়েছেন, খালিসিয়ার বাড়ি থেকে ১০টি ফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি ছুরি, আইডি কার্ড এবং নারীদের পোশাকসহ গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে।