ব্রিকস কোনোভাবেই পশ্চিমাবিরোধী জোট নয়। এমনটাই বলেছেন ব্রিকসে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত অনিল শুকলাল। তিনি বলেছেন, জোট পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এমন দাবি অযৌক্তিক এবং এগুলো ‘দুর্ভাগ্যজনক দাবি’। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অনিল শুকলালের মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন তাঁর দেশের জোহানেসবার্গে আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রিকস সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে জোটের পাঁচটি সদস্য দেশের সব দেশের নেতারা উপস্থিত থাকলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত থাকবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় এবং দক্ষিণ আদালতের সদস্য হওয়ায় পুতিন দেশটিতে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন আশঙ্কা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। তবে পুতিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন।
অনিল শুকলাল বলেন, ব্রিকসে পশ্চিমাবিরোধী জোট বলে যে তকমা দেওয়া হচ্ছে তা ভুল। তিনি বলেন, ‘আমরা যা করতে চাই তা হলো, গ্লোবাল সাউথের যে সম্মিলিত এজেন্ডা আছে, সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রতিনিধিত্বশীল, ন্যায্য ও মুক্ত বৈশ্বিক কাঠামো গড়ে তোলা।
এদিকে ব্রিকসের ভবিষ্যতের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আরটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক উপমন্ত্রী ফিকিলে মাজোলা জোর দিয়ে বলেছেন, ব্রিকস পরিবর্তনের জন্য একটি নিয়ামক শক্তি। সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি ইতিহাস বদলে দিতে যাচ্ছে এবং আমরা ইতিহাসের কাছে কৃতজ্ঞ যে, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে হতে যাচ্ছে।’
এর আগে গত সোমবার অনিল শুকলাল জানান, এই সম্মেলনে জোটটি বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নিজ নিজ মুদ্রা ব্যবহার করার বিষয়ে আলোচনা করবেন। তিনি আরও জানান, সম্মেলনে বিভিন্ন দেশে ৪০ জন নেতা অংশগ্রহণ করবেন।