হোম > বিশ্ব > আফ্রিকা

রামাফোসাই প্রেসিডেন্ট, জোট করে ক্ষমতায় ম্যান্ডেলার দল

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) সঙ্গে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (ডিএ) জোট গঠনে রাজি হওয়ার মাধ্যমে দেশটির পার্লামেন্ট সিরিল রামাফোসাকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে। গত শুক্রবার পার্লামেন্টের ভোটে বামপন্থী দল ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটারের জুলিয়াস মালেমাকে ভোটে হারান ন্যাশনাল কংগ্রেসের রামাফোসা। মালেমার ৪৪ ভোটের বিপরীতে রামাফোসা পান ২৮৩ ভোট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় জোট সরকার গঠনের তৎপরতা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) কেপটাউনে আইনপ্রণেতারা তেমন কোনো বিরোধিতা ছাড়াই ৭১ বছর বয়সী সিরিল রামাফোসাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন।

নির্বাচিত হয়ে গ্রহণযোগ্যতার স্বীকৃতিমূলক বক্তব্যে রামাফোসা বলেন, ‘জাতীয় পরিষদের সদস্যরা আমাকে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করায় আমি কৃতজ্ঞ ও সম্মানিত বোধ করছি। ভোটাররা আশা করেন নেতারা দেশের সবার ভালোর জন্য কাজ করবেন এবং একসঙ্গে কাজ করবেন।’

দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এএনসি থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই নির্বাচন থেকে সব সময়ই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে আসছিল দলটি। ৩০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না এএনসি। চরম মাত্রার দুর্নীতি, বেকারত্ব ও অপরাধ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হওয়ায় দলটির প্রতি সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে নির্বাচনের ফলে।

২০১৯ সালে পাওয়া ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে নেমে এ বছর এএনসির ভোট দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ২ শতাংশে। প্রায় ২২ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী ডিএ পার্টির সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিরিল রামাফোসাকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএ নেতা জন স্টিনহিইসেন বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন এবং আমি মনে করি, এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। আজ জাতীয় সরকারের অংশ হয়ে উঠেছে ডিএ। জনগণ ভোটের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা চায় না আমাদের সমাজে কোনো একটি দল কর্তৃত্ব করুক। জনগণ আমাদের এও বলেছে যে, আঙুল তোলার সময় শেষ এবং সহযোগিতা ও সমস্যা সমাধানের নতুন রাজনীতির সময় এসেছে।’

এএনসি এবং ডিএ দ্বারা স্বাক্ষরিত ‘স্টেটমেন্ট অব ইন্টেন্ট’-এ একটি মেধাভিত্তিক, নির্দলীয় এবং পেশাদার প্রশাসন গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে সরকারি পদে এএনসির সমর্থকদের নিয়োগের সমালোচনা করে আসছে ডিএ। এর মাধ্যমে এএনসি দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে বলে দাবি তাদের।

জুলু জাতীয়তাবাদী দল ইনকাথা ফ্রিডম পার্টি (আইএফপি) এবং দ্য প্যাট্রিয়টিক অ্যালায়েন্সও (পিএ) সরকারে যোগ দেবে বলে জানিয়েছে। এ দুটি ছোট দলই দক্ষিণ আফ্রিকায় মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনতে চায়।

২০১৮ সালে ক্ষমতাকেন্দ্রিক এক তিক্ত লড়াইয়ের পর জ্যাকব জুমাকে প্রেসিডেন্ট এবং এএনসি নেতার উভয় পদেই স্থলাভিষিক্ত করেন রামাফোসা। নতুন জোট গঠনের কারণে তিনিই রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকছেন।

কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষমতায়নের ব্যাপারে এনএইচআই এবং এএনসির নীতির বিরোধিতা করে ডিএ পার্টি। অন্যদিকে, ডিএ-এর সমালোচকদের অভিযোগ, বর্ণবাদের সময় দেশটির শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের অর্থনৈতিক সুযোগসুবিধা রক্ষার চেষ্টা করে ডিএ। যদিও দলটি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

বিবিসি তাই মধ্য-ডানপন্থী ডিএ-এর সঙ্গে এনএনসির জোটকে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছে। কারণ, দুটি দল কয়েক দশক ধরেই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী।

৩০ লাখ কুকুর নিধনের পরিকল্পনা মরক্কোর

নাইজেরিয়ায় পেট্রলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণে ৭৭ জন নিহত

দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে আর কোনো শ্রমিক আটকা নেই বলে ধারণা

সোনার খনিতে শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু, আটকা আরও ৫০০

সেনাবাহিনীর ভুলে নাইজেরিয়ায় ১৬ জন সাধারণ মানুষ নিহত

আত্মহত্যার চেষ্টাকে ‘অপরাধ’ গণ্য করা অসাংবিধানিক: কেনিয়ার হাইকোর্ট

শীতকালীন পার্টিতে সবাই কেন নাইজেরিয়ায় ছুটছে

চাদের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলা, নিহত ১৯

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নির্বিচার গুম-খুন, যেভাবে ধামাচাপা দিয়েছে পুলিশ

জিম্বাবুয়েতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল

সেকশন