অনলাইন ডেস্ক
গত শুক্রবার থেকে লোডশেডিংয়ে কেনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান অন্ধকারে। ১২ ঘণ্টা অন্ধকারে ছিল নাইরোবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অথচ জ্বালানিকে কেন্দ্র করেই কয়েক সপ্তাহ পর কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম আফ্রিকা জলবায়ু সম্মেলন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বন্ধ হাসপাতাল ও প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কম্পাউন্ডের কার্যক্রম। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর দেশটির পরিবহনমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। দেশটিতে সরকারি কর্মকর্তা বা রাজনীতিকদের এ ধরনের ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা খুব বিরল।
পরিবহনমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকোমেন গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যা হয়েছে তার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। এর জন্য কোনো অজুহাত হয় না। আর আমাদের বিমানবন্দর অন্ধকারে থাকার কোনো কারণ নেই।’
এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট তখনই হলো যখন কেনিয়া সরকার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠেয় আফ্রিকা জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক দেশ। এ সম্মেলনে জ্বালানিই হবে মূল আলোচ্য বিষয়।
কেনিয়ার বেশির ভাগ বিদ্যুৎ আসে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। কিন্তু অবকাঠামো ও অব্যবস্থাপনা আজও ৫ কোটি জনগণের জন্য বিরাট সমস্যা হয়ে রয়েছে।
সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংস্থা কেনিয়া পাওয়ার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্যার কারণে দেশের বেশ কিছু অংশে শুক্রবার ১০টা থেকে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’
প্রায় ভোর ৩টার দিকে কেনিয়া পাওয়ার জানায়, রাজধানী নাইরোবির বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।