অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে যত বিলিয়নিয়ার আছেন, তাদের সম্পদের পরিমাণ গত এক বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার বা ২ লাখ কোটি ডলার বেড়েছে। যা আগের বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালের তুলনায় ৩ গুণ বেশি। এই হিসাবে প্রতিদিন বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বেড়েছে গড়ে ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার করে। অধিকার সংস্থা অক্সফামের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে প্রকাশিত অক্সফামের ‘টেকার্স নট মেকার্স’—শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিলিয়নিয়ারদের মধ্য থেকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ট্রিলিয়নিয়ার হয়ে যেতে পারেন। গত বছর বলা হয়েছিল, আগামী দশ বছরে একজন ট্রিলিয়নিয়ার হতে পারে, কিন্তু এখন তা পরিবর্তিত হয়ে পাঁচজন ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অক্সফামের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বৃদ্ধির মূল কারণ হলো—বৈশ্বিক শেয়ার বাজারের মূল্য বৃদ্ধি। তবে আবাসন খাতে সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধিও একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। বৈশ্বিক মোট সম্পদের ৮০ শতাংশেরই মালিক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা গত বছর ২০৪ জন বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অক্সফামের প্রতিবেদনে। যার ফলে তাদের মোট সম্পদ ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। গত বছর পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ১০ জনের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার করে বেড়েছে। তাদের সম্পদের পরিমাণ এতই বেশি যে, তারা যদি রাতারাতি তাদের সম্পদের ৯৯ শতাংশও হারিয়ে ফেলেন, তবুও তারা বিলিয়নিয়ার থেকে যাবেন।
অক্সফামের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পৃথিবীর বেশির ভাগ সম্পদ ‘অর্জিত’ নয়, বরং ‘জোরপূর্বক গ্রহণ করা’। বিলিয়নিয়ারদের ৬০ শতাংশ সম্পদ এসেছে উত্তরাধিকার, ‘ক্রনি-কর্পোরেটিজম’ বা একচেটিয়া ক্ষমতার মাধ্যমে। ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ারের ইনডেক্স অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিরা হলেন—ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মার্ক জাকারবার্গ, ল্যারি এলিসন এবং লুই ভিতোঁর প্রতিষ্ঠাতা বের্নার্ড আর্নল্ট। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মাস্ক, বেজোস এবং জাকারবার্গকে দেখা যেতে পারে, যা প্রযুক্তি কোম্পানির দ্রুত বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রতীক।