যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে টর্নেডো এবং তীব্র ঝড়ে অন্তত ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের মধ্যে ১২ জনই মিজৌরির বাসিন্দা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিশিগান, মিজৌরি ও ইলিনয়সহ সাত অঙ্গরাজ্যে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়ি-ঘর-স্থাপনা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত শুক্রবার রাত এবং শনিবার ভোরে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে ২৬টি টর্নেডো আঘাত হানে। কানসাস, টেনেসি, ফ্লোরিডা, মিসিসিপিতেও অনেক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
মিজৌরির গভর্নর মাইক কোহই জানিয়েছেন, অঙ্গরাজ্যটির ২৫টি কাউন্টিতে পরপর প্রায় ১৯টি টর্নেডো আঘাত হানে। কাউন্টিগুলো লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
টর্নেডোর প্রভাবে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে কয়েকটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। কানসাসে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৫৫টি গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে গেছে, নিহত হয়েছে ৮ জন। ঝড়ের কবলে পড়ে টেক্সাসে প্রায় ৩৮টি গাড়ি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে।
অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও টর্নেডো আঘাত হানতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংবাদমাধ্যম এনডব্লিউএস–এর তথ্যমতে, টেনেসির শেলবিতে এখনো ঘণ্টায় ৯২ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে পারে উল্লেখ করে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, এই ঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আবার প্রায় একশটি স্থানে দাবানল শুরু হয়েছে। ওকলাহোমায় দাবানলে এরই মধ্যে পুড়ে গেছে ২৭ হাজার ৫০০ একর জমি। অঞ্চলটিতে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওকলাহোমা ফরেস্ট্রি সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নেভাতে এরই মধ্যে সেখানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট। তবে, আগুন এখনো এক শতাংশও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।