অনলাইন ডেস্ক
ছয় মাস পর করোনায় প্রথম মৃত্যু দেখল নিউজিল্যান্ড। যদিও দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে করোনার অতি সংক্রামক ডেলটা ধরন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
করোনায় নতুন এই মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। এক বার্তায় আর্ডার্ন বলেন, তার মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দিল, যে পন্থা (লকডাউন) আমরা অনুসরণ করছি, সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম দেশটিতে করোনায় কারও মৃত্যু হলো। গতকাল শুক্রবার রাতে নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অকল্যান্ডের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ওই নারী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতার কারণে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন নিতে না পারায় তার মৃত্যু হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে এ পর্যন্ত ২৭ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে ২৬ তম মৃত্যু হয়েছিল চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি।
করোনা মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বের সফল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম নিউজিল্যান্ড এত দিন বেশ ভালোভাবেই ঠেকাতে সক্ষম হয়েছিল এ রোগে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তবে সম্প্রতি ডেলটা ধরনের প্রভাবে দেশটির করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮২ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের করোনার ডেলটা ধরনে আক্রান্ত। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করেছে নিউজিল্যান্ডের সরকার।